Translate into your language

শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১

Rameswaram tour guide : রামেশ্বরম ভ্রমণ / Rameswaram, Tamilnadu

Rameshwaram temple :-
রাম, রাবণকে নিধন করার পর ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেতে লঙ্কা থেকে ফেরার পথে শিবের পুজা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। শিবমূর্তি আনতে হনুমান কে পাঠালেন কৈলাসে কিন্তু পুজার সময় অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে দেখে সীতাদেবী বালি দিয়ে শিবমূর্তি তৈরি করে পুজা করার পর হনুমান শিবমূর্তি নিয়ে উপস্থিত হলেন। এমতাবস্থায় সেই মুর্তিও প্রতিষ্ঠা করলেন রাম সাগর তীরে সামান্য উত্তরে। Rameswaram Temple- টি ১২ শতকে চোলরাজারা তৈরি শুরু করেন এবং ১৯ শতকে নায়ক রাজাদের সময়ে সম্পূর্ণ হয়। ১২১২ স্তম্ভের ওপরে মন্দিরটি তৈরি করার জন্য অর্থের যোগান দেয় সেতুপতি রাজারা। পৃথিবীর দীর্ঘতম বারান্দা ১২২০ মিটার রয়েছে Rameswaram-এ। সিলিং ও স্তম্ভ গুলো কারুকার্যমণ্ডিত এক একটি গ্রানাইট পাথর খোদাই করে তৈরি। সোনার আসনে মাথায় কালসর্প নিয়ে দেবতা সোনার পঞ্চমুখী ঢাকনা দিয়ে ঢাকা। Rameswaram Mandir-এ রয়েছে ১৫×১৬ ফুটের নন্দী ও পার্বতী ছাড়াও বিভিন্ন দেবতা। Rameswaram Mandir-টির উত্তর-দক্ষিণ-পশ্চিমে পিরামিডের মতো গোপুরম রয়েছে এবং পূর্ব দিকের গোপুরম দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। এছাড়া মন্দিরটির নাটমন্দিরের সামনে ১২ তলা বিল্ডিং এর সমান সোনার পাতে মোড়া স্তম্ভ রয়েছে। Mandir-টি খোলা থাকে ভোর ৪ টে থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৩টে থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত এবং প্রতিদিন ভোর ৫টায় স্ফটিক লিঙ্গ পুজা দিয়ে দিনের শুরু হয়। ৬ হেক্টর জায়গায় জুড়ে প্রাচীরে ঘেরা মন্দির চত্বরে মন্দিরটি উচু ভিতের উপরে অবস্থিত। বিশলয়তায় এবং ভাস্কর্যে অনন্য সুন্দর মন্দিরটি দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি এবং Rameswaram আকারে দক্ষিণ ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম। এছাড়া Rameswaram-এ রয়েছে ২২টি কুণ্ড, রামকুণ্ড, সীতাকুণ্ড লক্ষণ কুণ্ড সহ। রামকুণ্ডর জলে পাথর ভাসে এবং লক্ষণ কুণ্ডের জলে খাবার দিলে মাছেদের দেখতে পাওয়া যায়। কুণ্ড মানে তীর্থম... মন্দির পাশ্ববর্তী ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে অগ্নিকুণ্ডমে সমুদ্রের শান্ত জলে রামচন্দ্রও স্নান করেছিলেন।

Places to visits in Rameswaram :- 

Gandhamadana Mountain:- মন্দির থেকে ৩ কিমি দুরে ৩০ মিটার উচ্চতায় বালির পাহাড় Gandhamadana. হনুমান Gandhamadana Hills থেকে লাফ দিয়ে পকপ্রনালী পার হয়ে শ্রীলঙ্কায় যেতেন। Gandhamadana Mountain-এর Temple-এ শ্রী রাম-পদমের পুজা হয়।

Tapu :- অগভীর স্বচ্ছ জলে দেখে নেওয়া যায় বিভিন্ন রক, স্টার ফিশ, সী-হর্স কোরাল সহ রঙিন মাছেদের জলকেলি। হোটল তামিলনাড়ু থেকে দেড় কিমি দুরে ওলাকুদা পৌঁছে জলযানে একঘন্টা সময় লাগে টাপু যেতে।

Dhanuskodi :- Dhanuskodi-তে ভারত মহাসাগরে মিলন ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের। Dhanuskodi-র বামে পকপ্রনালী এবং ডাইনে মান্নার উপসাগর এবং Dhanuskodi-র অগভীর জলে হেরন, এগ্রেট, ফ্লেমিংগো, হুইমব্রেল, স্যান্ডপাইপার, লিটল স্টিন্ট ঘুরে বেড়ায়। এখানেই শ্রী রামচন্দ্র আদম সেতু বা Adam's Bridge নির্মাণ করে ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায়সংযোগ স্থাপন করে কার্য্য উদ্ধারের পর আবার ভেঙেও দেন। এক সময়ে ফেরি যোগাযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার তালাই মান্নার থেকে Dhanuskodi-র।Dhanuskodi-তেই সাক্ষাত্ হয়েছিল রামচন্দ্র এবং বিভীষণের এবং এখানে মন্দির রয়েছে ৩ কিমি আগে রাম, লক্ষণ, সীতা, বিভীষণ এবং হনুমানের। এখান থেকে ঘুরে নেওয়া যায় বিবেকানন্দ কুঠি এবং রামকৃষ্ণ পুরমে। রামেশ্বরম থেকে নিয়মিত তিনটি রুটে বাস যোগাযোগ রয়েছে Dhanushkodi -এর এবং ধনুষ্কোডি থেকে রামেশ্বরম ফেরার শেষ বাস ছাড়ে রাত্রি ৮ টার সময়।

Krusadai Island :- Krusadai Island থেকে বোটে ২ কিমি দুরে সেট্রাল ফিশ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মিউজিয়াম ও অ্যাকোরিয়ামে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী ও রঙিন মাছের সংগ্রহ উপভোগ করা যেতে পারে Krusadai-এ। মান্নান উপসাগরের ইন্দো-নরওয়ে ফিসারি প্রজেক্ট Krusadai Island জীববিজ্ঞানীদের সাম্রাজ্যে ঘুরে আসা যেতে পারে। এছাড়া Krusadai-তে দেখা ও কেনা যেতে পারে কৃত্রিম মুক্তা চাষ ও মুক্তা সহ রঙিন মাছ ও অ্যাকোরিয়াম। TFDC -র অনুমতিক্রমে Krusadai থেকে আরোও ঘুরে আসা যায় নৌকায় করে প্রবাল দ্বীপ। পরিস্কার স্বচ্ছ অগভীর জলে পুঞ্জিভূত সাদা কোরাল ঘিরে রঙিন মাছেদের জলকেলি অনবদ্য অনুভূতির সৃষ্টি করে এখানে। প্যারাডাইস ফর মেরিন বায়োলজিষ্ট কুরুসদাই আইল্যান্ডে সী কাউ ও দেখা যায় তবে উচিত হবে স্কুবা ডাইভিং-এর সরঞ্জাম সঙ্গে রাখা।

Ramnad :- রামেশ্বরম থেকে ৩৬ কিমি এবং মাদুরাই থেকে ১২০ কিমি দুরে রামলিঙ্গ ভিলাস ঘুরে নিতে পারেন Ramnad. Ramnad তৈরি করেন রামের তৈরি সেতুর অধিপতি সেতু পতি রাজা। বাসস্ট্যান্ড থেকে ২ কিমি দুরে রঘুনাথ সেতুপতির বিধ্বস্ত দূর্গাটিও দ্রষ্টব্য।

Mon Madurai :- সেরামিক শিল্পের কারণে বিখ্যাত এই Mon Madurai.
যুদ্ধের সময়ে হনুমান তার বানর সেনাদের নিয়ে বিশ্রাম নিয়ে ছিলেন Mon Madurai. পেরুমল মন্দিরে মূর্তিও তৈরি হয়েছে হনুমানের। এছাড়াও আছে সোমনাথস্বামী মন্দির Mon Madurai-এ। রামনাথপুরম থেকে ৭১ এবং Madurai থেকে ৪৬ কিমি দুরে Mon Madurai. ত্রিচি-রামেশ্বরম প্যাসেঞ্জার, রামেশ্বরম এক্সপ্রেস ও তামবারাম-রামেশ্বরম সেতু ট্রেন গুলো যাচ্ছে Mon Madurai হয়ে।

How to go Rameswaram :- 
হাওড়া থেকে ট্রেনে ভুবনেশ্বর গিয়ে ভুবনেশ্বর থেকে ট্রেনে রামেশ্বরম। কলকাতা থেকে ফ্লাইটে মাদুরাই গিয়ে মাদুরাই এয়ারপোর্ট থেকে periyar busstand গিয়ে সেখান থেকে মাদুরাই জংশন গিয়ে ট্রেনে রামেশ্বরম। কলকাতার M G Bus Stand থেকে হায়দ্রাবাদ - ব্যাঙ্গালোর হয়ে রামেশ্বরম। কলকাতা থেকে ট্রেনে ত্রিচি এবং ত্রিচি থেকে গাড়িতে রামেশ্বরম। কলকাতা থেকে ট্রেনে কন্যাকুমারী এবং কন্যাকুমারী থেকে গাড়িতে রামেশ্বরম। কলকাতা থেকে ট্রেনে চেন্নাই গিয়ে চেন্নাই থেকে গাড়িতে রামেশ্বরম। কলকাতা থেকে ট্রেনে ব্যাঙ্গালোর গিয়ে ব্যাঙ্গালোর থেকে গাড়িতে রামেশ্বরম। TTC - র এবং বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানি বাস মাদুরাই থেকে ঘন্টা চারেকে যাচ্ছে-আসছে রামেশ্বরম। কন্যাকুমারী থেকে TTC-র বাস মাদুরাই হয়ে NG 49 ধরে সাড়ে দশ ঘন্টায় যাচ্ছে-আসছে রামেশ্বরম। চেন্নাই থেকে রামেশ্বরম আসছে যাচ্ছে এছাড়া সালেম, ইরোড, কোমেম্বাটুর থেকে বাস যাচ্ছে আসছে।  Rameswaram bus booking link click here

Hotels in Rameswaram :-
There are some hotels of Rameswaram and Rameswaram hotels Phone numbers.

Hotel Rama Palace, Phone:- 09092383833. Karthees Residency, Phone:- 09442149986. Hotel Sivasakthi, Phone:- 0801593200. Jangamwadi Math Yatri Niwas, Phone:- 04573221603. Hotel Raamajayan, Phone:- 0888365100. Hotel S R Residency,  Phone:- 08675541183
Hotel Park Plaza,  Phone:- 09488006008. Hotel Royal Residency,  0948922335. Beach view Cottage,  Phone:- 09600043615. Hotel Pearl Residency, Phone:- 08056793800. Hotel Saara, Phone:- 09442700601. Hotel Ashoke, Phone:- 09488385009. Hotel Rameswaram Grand,  Phone:- 04573222233.

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

Dwarka Tour : দ্বারকা ভ্রমণ / Dwraka , Gujarat

Dwarka
অতীতে শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকার বর্তমান নাম দোয়ারকা। Dwarka মানে ব্রহ্মপ্রাপ্তির দরজা, যেখানে গেলে শ্রীকৃষ্ণের সংঙ্গ লাভ হয় বলে ধারণা পুণ্যার্থীদের। মগধরাজ জরাসন্ধ বার বার পরাজিত হয়েও কালযবনের সাহায্যে ১৯ তম বার আক্রমণ করলে, শ্রীকৃষ্ণ গুজরাটের গির্নারের কাছে মথুরা ছেড়ে এসে আনর্ত নগরী তৈরি করেন। গোমতীর সঙ্গমে অতীতের ১২ যোজন (১ যোজন সমান ৮ মাইল) বিস্তৃত দূর্গটিকে সংস্কার করে যদুবংশের নতুন রাজধানী তৈরি করেন শ্রীকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণের ৩৬ বছরের রাজত্বকালে ইন্দ্রপ্রস্থের পরেই দ্বিতীয় জনবহুল জনপদ তৈরি হয় সেই সময়ে Dwraka. বিষ্ণুর ৮ম অবতার শ্রীকৃষ্ণের ক্রিয়াকলাপের স্মৃতি বহনকারী Dwraka Nagori সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায় শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যুর পর ইন্দ্রপ্রস্থের উদ্দেশ্য পাত্রমিত্র সহ অর্জুনের Dwraka ত্যাগের পরপরই। ১৯ শতকে বর্তমান Dwraka তৈরি করেন গায়কোয়ারের রাজা এবং এই সময়ে দ্রুত শিল্পনগরীর রূপ পাচ্ছে Dwraka. যদিও Dwraka হিন্দুদের সপ্তপুরীর এক পুরি এবং পবিত্র হিন্দু তীর্থ। গান্ধীজীর চিতাভস্ম বিসর্জন দেওয়ার কারণে Dwraka Seabeach-এ গান্ধীঘাট তৈরি হয়েছে।

Visiting places in Dwarka :- 
Dwarakadhish Temple:- দ্বারকার প্রধান দ্রষ্টব্য Dwrakadhish Mandir-এ প্রজাপালক রাজা শ্রীকৃষ্ণ শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্মধারী চতুর্ভুজা সাড়ে তিনফুট উচু কষ্টিপাথরে তৈরি রূপার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত। Dwarkadhish Temple-টি নির্মিত হয়েছে গ্রানাইট এবং বেলেপাথরে রথের মতো করে ১৭০ ফুট উচু ৭২ টি মনোলিথিক পিলার দিয়ে। সপ্তমতল মন্দিরটিতে গর্ভমন্দির, বিমানমণ্ডপ ও নাটমণ্ডপ তিনটি ধাপে তৈরি হয়েছে এবং মন্দিরের চূড়ায় স্বর্ণকলস রয়েছে। জনশ্রুতি ১৬ শতকে এক রাত্রির মধ্যে তৈরি হয় এই 
Dwarakadhish Mandir-টি। মন্দিরটি তৈরি করেন রাজা জগৎ সিং রাঠোর। মুল মন্দিরের সামনে মাতা দেবকী এবং তোরণে সিদ্ধিদাতা। ডাইনে কুশেশ্বর এবং বামে প্রদ্যুম্ন, অনিরুদ্ধ, দূর্বাসা, অম্বাজী, লক্ষী-নারায়ণ, শ্রীরাধা, জাম্ববতী, গোপাল, বলদেব, সত্যভামা, রুক্মিণী রয়েছে নিজস্ব মন্দিরে।
Dwarakadhish খোলা থাকে সকাল ৬ টা থেকে ১২.৩০ এবং সন্ধ্যা ৫ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত। মন্দিরটিতে শুধু মাত্র হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারেন। Dwarkadhish ভোগভাণ্ডার থেকে আগে থেকে কুপন কেটে রাখলে দুপুরে এবং সন্ধ্যায় অন্নভোগ পাওয়া যায়।

Krishna Temple:- দ্বারকাধীশ মন্দিরের নিচে গোমতী নদী ঘেরা দ্বীপে রয়েছে Krishna Mandir-টি। যেটির দক্ষিণ দরজা দিয়ে ৫৬ ধাপ নেমে গোমতীদেবী মন্দির এবং গোমতীদেবী মন্দিরের নীচে গোমতী নদীতে স্নান করেন পুণ্যার্থীরা।

Sangam Narayan :- গোমতীর স্নানের ঘাট থেকে কিছুটা দুরে গোমতী ও সাগর সঙ্গমের ডাইনে মন্দিরে কাঠের তৈরি Sangam Narayan. Sangam থেকে ৩২ মাইল বিস্তৃত নদীর দুই তীর চক্রতীর্থে চক্রের ছাপ আঁকা দ্বারাবতী শিলা এখনও পাওয়া যায়। 

পঞ্চনদ তীর্থ :- লাইট হাউসের উত্তরে সানসেট পয়েন্টের উল্টোপারে পঞ্চপাণ্ডবের নামে মিষ্টি জলের ৫ টি কুয়ো পঞ্চতীর্থ নামে খ্যাত। যে কুয়ো গুলোর জলের স্বাদ একটির থেকে আর একটি আলাদা। দক্ষিণে লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দির এবং পাশেই সমুদ্র তীরে চক্র চিহ্ন আঁকা চক্র-নারায়ণ পাথরখণ্ড। 

Rukmini Mandir:- কৃষ্ণের স্ত্রী রুক্মিণীর শ্বেতমর্মরে মুর্তির পূজা হয় দ্বারকাধীশ থেকে ২ কিমি দুরে Rukmini Mandir-এ। দ্বারকাধীশ থেকে ওখা-র রাস্তায় ১২ শতকে কারুকার্যমণ্ডিত Rukmini Devi-এর মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল এবং যেটি থেকে আরব সাগরের সূর্যাস্ত মনোমুগ্ধকর।

Bhadrakali Mandir:- যাদব বংশের কুলদেবী চতুর্ভুজা মহাকালী এখনও পূজিতা। রুক্মিণী দেখে ফেরার সময়ে শহরের মধ্যেই ৫১ পীঠের এক পীঠ
Bhadrakali Mandir-টি দেখে নেওয়া যায়। Bhadrakali-তে রয়েছে সিদ্ধেশ্বর মহাদেব মন্দির যে মন্দিরের শিবলিঙ্গটি স্বং ব্রহ্মা প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া ব্রহ্মকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কবীর আশ্রম এবং বেদ ভবন রয়েছে। বেদ ভবনের বিশ্বকর্মার নিজের হাতে লেখা নটি পুঁথিও রয়েছে।

Sarada Math :- শঙ্করাচার্য প্রতিষ্ঠিত চার মঠের মধ্যে Sarada Math একটি। Mathe গোমতী এবং আরব সাগরের সঙ্গমে আচার্যের কুড়িয়ে পাওয়া বিগ্রহ চন্দ্রোমৌলীশ্বর শিব। Sarada Mathe-এ রয়েছে ১২০০ শালগ্রাম শিলা, ১৩০০ শিবলিঙ্গ ও ৭৫ জন শঙ্করাচার্যের ধাতুমূর্তি।

Poshitra Island :- দ্বারকা থেকে ৩০ কিমি দুরে প্রবালরাজ্যে প্রবেশের দু'পাশে ক্যাকটাসের ঝাড় পথের আকর্ষণ বাড়িয়েছে। Poshitra-র লাকু পয়েন্টে প্রবালের সাথে সাথে বিভিন্ন কিছু দেখা যায়।

এছাড়াও দ্বারকার ওখা-র দিকের রাস্তায় দেখে নিতে পারেন নাগেশ্বর, গোপী তালাও, মীরাবাঈয়ের মন্দির, মিঠাপুর এবং তারকেশ্বর।

How to go Dwarka :- 
কলকাতা থেকে গুজরাটের আমেদাবাদ ট্রেন লিস্ট লিঙ্ক। প্রতিদিন সৌরাষ্ট্র মেল মুম্বাই সেন্ট্রাল থেকে দ্বারকা হোয়ে ওখা যাচ্ছে। প্রতি রবিবার উত্তরাঞ্চল এক্সপ্রেস দেরাদুন থেকে দ্বারকা গিয়ে সোমবার ওখা পৌছায়। পুরী ছেড়ে রবিবার পুরী-ওখা এক্সপ্রেস দ্বারকা পৌঁছে ওখা যাচ্ছে। সপ্তাহের তৃতীয় ও পঞ্চম দিন এর্নাকুল থেকে দ্বারকা গিয়ে সপ্তাহের পঞ্চম এবং সপ্তম দিনে ওখা যাচ্ছে এর্নাকুলাম-ওখা এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার গোরক্ষপুর থেকে শনিবার দ্বারকা পৌঁছে ওখা যাচ্ছে ১৫০৪৫ এক্সপ্রেস। সোমবার পোরবন্দর থেকে বাস যাচ্ছে দ্বারকা। দ্বারকা থেকে বাস যাচ্ছে আসছে আমেদাবাদ, ডাকোর, মাহেসানা, সোমনাথ, জুনাগড়, পোরবন্দর ও ওখা-তে। আমেদাবাদ থেকে দ্বারকা যাওয়া বহু বাস রয়েছে এখানে ক্লিক করে লিস্ট ও খরচ দেখে নিন।

Taxi service in Ahmedabad to Dwraka :-
Lalubhai Travels,  Phone:- 9327008301
Cab Bazar, Phone:- 777788088
Global one way taxi, Phone:- 9773468623

Car Service in Dwraka :- 
Dwarka Travels,  Phone:- 07096508000
Buddha Tour and Travels,  Phone:- 07874544744
Dwarka Taxi & Cab Service, Phone:- 08511580163.

Hotels in Dwraka :-
There are Some Dwraka hotels and Dwarka Hotels contact numbers.

Hotel Meera, Phone:- 09824233706. Hotel Guruprerana, Phone:- 02892 234512. Foul, Phone:- 02892 234154. Muralidhar, Phone:- 02892 234317. Hotel Chandi, Phone:- 09426988681. Hotel City Palace, Phone:- 02892 234312. Ekanta Apan, Phone:- 9433003245. Hotel Darshan, Phone:- 09879726680. Hotel Sundar Place, Phone:- 02892 234372. Hotel Debang, Phone:- 02892 234071. Hotel Swastik, Phone:- 02892 234132. Bharat Sebasram Sangha, Station Road- 361336, Phone:- 02892 234157.

Hotels in Ahmedabad :- 
Holiday Inn, Phone:- 07949004141. Hotel Ashish, Phone:- 07925505015. Hotel Volg, Phone:- 07925509497. The Park Residency Hotel, Phone:- 08980033424. Hotel Satelite Inn, Phone:- 07490894828. Hotel Furaat Inn, Phone:- 07926462001. Urbane the Hotel, Phone:- 07926446001. Silver Cloud Hotel & Banquets, Phone:- 07926446001.

Package tour Arranger for Dwraka :-  
দ্বারকা, বেট দ্বারকা, নাগেশ্বর ও গোপীতলা দেখাতে নিয়ে যায় এঁরা বুকিং:- Dwarka Nagar Palika, Phone:- 02892234449.

বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

North Bengal :- উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ গাইড / North Bengal tour plan l

কোচবিহার জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর, মালদা ও আলিপুর দুয়ার জেলা গুলো নিয়ে পচ্শিবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিকের একটি ভৌগলিক অঞ্চল North Bengal. উত্তরে সিকিম এবং ভূটান, পূর্বে বাংলাদেশের রংপুর-রাজশাহী এবং ভারতের অসম, দক্ষিণে পচ্শিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগ সহ পশ্চিমে নেপাল এবং বিহারের সীমানা দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং তিস্তা-তোর্ষা-মহানন্দা অববাহিকায় অবস্থিত একটি অর্থনৈতিক ভাবে দক্ষিণবঙ্গের থেকে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল North Bengal. এই অঞ্চলের প্রধান শহরটির নাম Siliguri যেটি সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হলেও, এর অনন্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। অবিভক্ত ভারতের এই অঞ্চলটি বাংলাদেশের রাজশাহী ও রংপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এবং এটিকে ঐতিহাসিক ভাবে গৌড় (Gour)নামে অভিহিত করা হতো।

Places to visits in North Bengal:-
উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করতে গেলে কলকাতা থেকে ফারাক্কা পার হয়ে প্রথম জেলা মালদহ।

 Malda :- এই জেলার আদি বাসিন্দা ‘মলদ’ কৌমগোষ্ঠীর নাম অনুসারে Malda District-এর নামের উৎপত্তি। ভিন্নমতে ফার্সি শব্দ ‘মাল’ ও বাংলা ‘দহ’ শব্দ দুটির সংমিশ্রণে Malda নামটির উৎপত্তি। দার্শনিক পাণিনি তার লেখায় গৌড়পুরা নামের একটি প্রাচীন জনপদের কথা উল্লেখ করেছিলেন৷ সম্ভবতঃ এই জনপদটিই বর্তমানে মালদহ জেলার গৌড় অঞ্চল। যেটির বিস্তার পুরাতন Gour ও Pandua বা পুণ্ড্রবর্দ্ধন অবধি৷ পুণ্ড্রনগর মৌর্য সাম্রাজ্যের পূর্ব-পাশ্বীয় বিভাগীয় সদর৷ বর্তমান বাংলাদেশের বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় থেকে উদ্ধার হওয়া ব্রাহ্মীলিপিতে খোদাই করা এক শিলালেখ থেকে এটা বোঝা যায় গৌড় ও পুণ্ড্রবর্দ্ধন অঞ্চল একসময় মৌর্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিলো৷ সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ স্তম্ভ ও দিনাজপুরের কিছু প্রত্নতাাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে এটা অনুধাবন করা যায় যে, সমগ্র North Bengal থেকে কামরূপ গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো৷ সপ্তম শতাব্দীতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর প্রায় তিন দশক যাবৎ Karnasubarna-এর রাজা তথা Gour Raj Sasanka স্বাধীনভাবে শাসনভার গ্রহন করেন। অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে একাদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত ঐ অঞ্চলে পাল সাম্রাজ্য বিস্তার লাভ করেছিল৷ পাল বংশের শাসনামলে বরেন্দ্র ভূমির বৌদ্ধবিহার জগদল্লবিহার নালন্দা, বিক্রমশিলা ও দেবীকোট বিহারের সমান উন্নত হয়েছিল৷

Places to visits in Malda:-
রামকেলি অষ্টকুণ্ড, বড়সোনা মসজিদ, দাখিল দরওজা, জহুরা মন্দির, কদম-রসুল মসজিদ, ফিরুজ মিনার, মালদহ জেলা সংগ্রহশালা, চামকাটি মসজিদ, লুকোচুরি গেট, আদিনা ডিয়ার  পার্ক, আদিনা মসজিদ, একলাখী সমাধি সৌধ, জগজীবনপুর বৌদ্ধ বিহার, চাঁচল রাজবাড়ী, আদিনা গোলঘর, চিকা মসজিদ, বারোদুয়ারী মসজিদ, একোয়াটিক বেঙ্গল, নিমাই সরাই স্তম্ভ।

 Gour :- 
মালদহ জেলার প্রাচীন লক্ষ্মণাবতী নগরীর ধ্বংসাবশেষ বর্তমান সময়ে Gour নামে সুপরিচিত। এই শহরটি রাজমহল থেকে ৪০ কিমি দূরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বিস্তারিত এখানে ক্লিক করুণ

Places to Visits in Gour :- 
মালদহ থেকে গৌড় যাওয়ার সময় পথে পিয়াসবারি, পিয়াসবারির পশ্চিমে রামকেলি থেকে সামান্য দক্ষিণে বড়সোনা মসজিদ। এছাড়া Gour-এ রয়েছ ফিরোজ মিনার, কদম রসুল মসজিদ, চিকা মসজিদ, লুকোচুরি গেট, বাইশগজী প্রাচীর, ছোটসোনা মসজিদ, তাঁতিপাড়া মসজিদ, লোটন মসজিদ, গুণমন্ত মসজিদ, চামকাটি মসজিদ গৌড়ে।

Pandua :- 
সিকন্দর শাহ ও গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সময়ে তৈরি আদিনা মসজিদ Pandua-র অন্যতম দ্রষ্টব্য এবং এর কাছেই সাতাশঘরা। এছাড়াও Pandua-তে দেখে নিতে পারেন - বড়ী দরগা, সালামি দরওয়াজা, ছোটি দরগা, একলাখী মসজিদ, কুতবশাহী মসজিদ। কলকাতা থেকে বাস ও ট্রেনে পাণ্ডুয়া যাওয়া যায়। ট্রেনে গিয়ে নামতে হবে মালদা টাউন স্টেশনে এবং বাসে গৌড় যেতে হলে নামতে হবে পিয়াসবারিতে। সেখান থেকে ট্যাক্সি, টাঙ্গা বা বাসে গৌড় ও পাণ্ডুয়া ঘুরে নেওয়া যায়। 

Kulik Bird Sanctuary :- পাণ্ডুয়া থেকে ৫৬ কিমি দূরে অবস্থিত রায়গঞ্জের পাশেই কুলীক নদীর তীরে কুলীক Kulik Bird Sanctuary. জুলাই থেকে অক্টোবরে জারুল, শিমূল, শিশু, সেগুন, অর্জুন অরণ্যে ঘেরা ঝিলে পরিযায়ী পাখিদের মেলা বসে Kulik-এ। রায়গঞ্জ স্টেশনে নেমে সেখান থেকে কুলীক ঘুরে নেওয়া যায়।

Hotels in Malda :-
There some Malda hotels and Malda Hotels Phone numbers.

Hotel Purbachal, Phone:- 03512226786. OYO Hotel, Phone:- 01246201180. Golden park Hotel, Phone:- 03512262251. Hotel Indraprasta, Phone:- 03512223243. Silver Arcade hotel, Phone:- 07719381855. Malda Tourist Lodge, Phone:- 09733008793. Hotel Orchid, Phone:- 03512221136. Hotel Gitanjali, Phone:- 03512254433.

 Darjeeling:- 
ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকে Darjeeling একটি অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া জেলা ছিল এবং ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে Darjeeling-কে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সমতলে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে ব্রিটিশরা Darjeeling কে একটি শৈলশহর ও স্বাস্থ্য উদ্ধারকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন। ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে Darjeeling Town- কে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল চালু হলে শহরের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।

Places to Visit in Darjeeling:-

পদ্মজা নাইডু পার্ক:-  এই হিমালয়ান পার্কটিতে রেড পান্ডা, স্নো লেপার্ড, তিব্বতীয় নেকড়ে সহ পূর্ব হিমালয়ের বহু বিলুপ্তপ্রায় এবং বিলুপ্ত প্রজাতির পশুপাখিদের দেখতে পাওয়া যায়।
ধীরধাম মন্দির:-  কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথ মন্দিরের মতোই তৈরি।
হিস্টোরি মিউজিয়াম:- মিউজিয়ামটি গাছপালা ও পশুপাখিদের প্রাকৃতিক পরিবেশের অনন্য সৃষ্টি।
বোটানিকাল গার্ডেন:- উদ্যানটিতে অর্কিড, রডোডেনড্রন, ম্যানোলিয়া, প্রিমুলা, ফার্ন সহ বিভিন্ন প্রজাতির হিমালয়ান উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়।
রেস কোর্স:- এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট এবং সর্বোচ্চে রেস কোর্স।
ঘুম মনাস্ট্রি:- এই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ মনেস্ট্রি।
অবজারবেটরি হিল:-  ধীরধাম মন্দির এবং বৌদ্ধ সংরক্ষণালয় এই ভিউপয়েন্ট পাহাড়ের উপর অবস্থিত। দার্জিলিং ভ্রমণ ডিটেল এখানে ক্লিক করুন
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং-এর দুরত্ব ৮০ কিলোমিটার, বাস শেয়ার জিপ ও গাড়িভাড়া করে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়া যায়। এছাড়াও হিমালয়ান রেলের হেরিটেজ টয়ট্রেনে চেপেও যেতে পারেন কিছুটা।

Siliguri :-
Siliguri- এর উত্তরে নেপাল ও দক্ষিণে বাংলাদেশ অবস্থিত। মুরগীর গলার আকৃতির হওয়ায় Chiken Neck Corridor বলা হয় Siliguri-কে। শিলিগুড়ির মধ্য দিয়ে উত্তরে নেপাল ও দক্ষিণে বাংলাদেশ রেখে যেতে হয় দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুর দুয়ার ও কোচবিহার এবং অরুণাচল, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যাণ্ড, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ছাড়াও সিকিম রাজ্যে। Siliguri ছাড়া উত্তর-পশ্চিম-দক্ষিণ থেকে কারও পক্ষে এই আটটি রাজ্যে এবং ভূটানে প্রবেশ করা প্রায় অসম্ভব। তাই এটি ভারতে অখণ্ডতা রক্ষায় যেমন গুরুত্বপূুর্ণ, তেমনি ভারতকে চাপে রাখতে চীনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা Siliguri. Darjeeling-এর গুরুত্বপূর্ণ শহর Siliguri. সিকিম-সহ পূর্ব হিমালয় এবং তার পাদদেশের অঞ্চল গুলোতে যাওয়ার জন্য Siliguri-এর গুরুত্ব অদ্বিতীয়। Siliguriথেকে উত্তরবঙ্গ Dooars ও সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য বাস, ভাড়ার গাড়ি, জিপ, ল্যান্ডলোভার পাওয়া যায়।

Hotels in Siliguri :- 
There some hotels of Siliguri and Siliguri hotels contact numbers.

Elan Sky View, Phone:- 07001719006. Montana vista, Phone:- 03532571401. OYO Hotel Vinayak, Phone:- 01246201520. Treebo trip GD Hotel, Phone:- 09322800100. Mount Embassy, Phone:- 03532460214. Apple's Balaji Inn, Phone:- 09883905778. Courtyard by Marriott, Phone:- 03536666666. Yaksha Holiday home, Phone:- 0974970266. Sinclairs Siliguri, Phone:- 03532512675. Hotel Saluja, Phone:- 09800417999.

Mirik :-  দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত ছবির মত সুন্দর সাজানো একটি পর্যটন কেন্দ্র Mirik. Mirik নামটির উত্পত্তি লেপচা শব্দ মির-ইওক থেকে যার মানে "অগ্নিদগ্ধ স্থান"। Temperature of Mirik গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতে সর্বোনিম্ন ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মিরিক ভ্রমণ পিপাসুদের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে এর মনোমুগ্ধকর আবহাওয়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং যাতায়াতের সুব্যবস্থার কারণে। মিরিকের মুল আকর্ষণ সুমেন্দু লেকটির একদিক বাগান এবং অন্যদিক পাইন অরণ্যে ছাওয়া। পায়ে হাঁটা খিলান সাঁকো ইন্দ্রেনি পুল, এই দুটোকে একসঙ্গে যুক্ত করেছে। লেকটিকে ঘিরে থাকা সাড়ে তিন কিমি লম্বা রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে দূর দিগন্তে কাঞ্চনজঙ্ঘার মায়াবী রূপ আস্বাদন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। লেকের জলে বোটিং ও ঘোড়ায় চেপে লেকের চারপাশ প্রদক্ষিণ করার ব্যবস্থাও আছে। Mirik-এর সবচেয়ে  কাছে বাগডোগরা বিমানবন্দর অবস্থিত। যেটি Mirik থেকে ৩০ মাইল দূরে এবং শিলিগুড়ির নিকটবর্তী "নিউ জলপাইগুড়ি" রেলস্টেশন কাছের রেলওয়ে স্টেশন Mirik-এর।
Mirik থেকে কিছু বাস Siliguri ও Darjeeling যাওয়া আসা করে। মিরিক থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত শেয়ার টাক্সি চালু রয়েছে এবং ব্যক্তিগতভাবে টাক্সি ভাড়া করাও যায়। দার্জিলিং মোটর স্টান্ড থেকে মিরিকের কৃষ্ণনগর পর্যন্ত শেয়ার টাক্সি চালু আছে। এছাড়া মিরিকের ভিতরেও ঘোরার জন্য শেয়ার টাক্সি চালু আছে  Mirik Lake to Mirik Bazar.

Places to visit in Mirik :- 

সুমেন্দু হ্রদ - এই লেকটির উপর দিয়ে একটি ৮০ ফুট দীর্ঘ সাঁকো রয়েছে। লেকের জলে বোটিং ছাড়াও ঘোড়ায় চেপে লেকের চারপাশ ঘুরে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
রামিতেদারা- শহরের কাছে অবস্থিত এই ভিউ পয়েন্ট থেকে চারপাশের পাহাড় ও বিস্তর্ণ সমভূমি অঞ্চল সুন্দর ভাবে দেখা যায়।
বোকার গুম্ফা-  বৌদ্ধধর্ম চর্চার কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত বোকারো গুম্ফা রামিতেদারা যাওয়ার রাস্তায় পড়ে।
রাই ধাপ- এটি একটি পিকনিক স্পট এবং সমগ্র মিরিকের পানযোগ্য জলের অন্যতম উৎস।
দেবীস্থান- হিন্দু দেবীর মন্দিরটি সুমেন্দু লেকের পাশেই টিলার উপরে অবস্থিত।
টিংলিং ভিউপয়েন্ট- ৩৬০ ডিগ্রী প্যানারমিক ভিউ পাওয়া যায় এখান থেকে চা-বাগিচাগুলির।
কমলালেবুর বাগান- মিরিক বস্তি, মুরমা ও সৌরেনি বস্তি অঞ্চলে কমলালেবুর বাগান গুলো অবস্থিত এবং মিরিক উৎকৃষ্ঠ মানের কমলালেবু উৎপাদন করে।
অর্কিড- আন্তর্জাতিক মানের সিমবিডিয়াম চাষের জন্য মিরিকের জলবায়ু খুবই উপযোগী এবং মিরিকের রাতো মেটে একটি সিমবিডিয়াম অর্কিডের বাগান রয়েছে যার নাম "দার্জিলিং গার্ডেন্স প্রাইভেট লিমিটেড"।
জয়ন্তী নগর- এই অঞ্চল ইকোট্যুরিজমের একটি জনপ্রিয় অঞ্চল এবং ইকোট্যুরিজম কে এই অঞ্চলে উৎসাহিত করা হয়।
পশুপতি নগর:- নেপালের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চল  জামাকাপড়, ইলেকট্রনিক্স এবং ঘরোয়া জিনিসপত্র বাণিজ্যি কেন্দ্র।
বসকো চার্চ:-  মিরিক-ডন বসকো স্কুলের পাশে এটি দার্জিলিং জেলার অন্যতম সুন্দর এবং বড় ক্যাথলিক চার্চ।
সুইস কটেজ:- শহরের ভিড় থেকে দূরে মিরিকের সর্বোচ্চ উচ্চতায় তৈরি এটি একটি খুবই সুন্দর লজ।

Hotels in Mirik:-
There are some hotels of Mirik Information and Mirik Hotels contact numbers..

Hotel Blue Lagoon, Phone:- 07797382052. The Park, Phone:- 098007070039. Birdsong Home, Phone:- 0983188847.

Kurseong :- 
শিলিগুড়ি থেকে ৪৮ কিমি দুরে পাইন, ফার, বার্চে মোড়া Kurseong-এর পাহাড়ের ঢালে চা-বাগিচা। মেঘমুক্ত আকাশে দেখে নেওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপোলি চূড়া সহ ঈগলস ক্র্যাগ থেকে মনমোহিনী সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। এছাড়াও Kurseong-এ রয়েছে Forest Museum, Deer Park, মিনি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, নেতাজী মিউজিয়াম, মকাইবাড়ি টি-এস্টেট। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তার মাঝামাঝি অংশে Kurseong অবস্থিত।

Hotels in Kurseong:-
There are some hotels of Kurseong and Kurseong hotels contact number.

The Amarjeet Hotel, Phone:- 09832745678. Merry Hotels & Restaurants, Phone:- 09734150902.

Sandakphu :- 
ট্রেকারদের স্বর্গরাজ্যটি দার্জিলিং থেকে ৫৮ কিমি দুরে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম স্থানে অবস্থিত Sandakphu. কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তে রঙের হোলিখেলা সহ দৃশ্যপটে উদ্ভাসিত হয় এভারেস্ট, মাকালু, পান্ডিম, নরসিং, নাপসে, কোকতাং ইত্যাদি। এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত  রডোডেনড্রন, ম্যাগনোলিয়ার সহ পাহাড়ি ফুলে ফুুুলে ভোরে উঠে Sandakaphu. দার্জিলিং থেকে বাস ট্রেকার বা গাড়িতে ঘুম, লেপচাজগত, সুখিয়াপোখরি হোয়ে মানেভঞ্জন গিয়ে বিশ্রাম নিয়ে পরদিন ট্রেকিং শুরু করতে হয়। মেঘমা, টুমলিং, জৌবাড়ি হোয়ে গৈরিবাস গিয়ে রাত্রিযাপন। এখান থেকে শুরু হয় Singhalila National Park. গৈরিবাস থেকে চড়াই উঠে কালপোখরি হোয়ে বিকেভঞ্জন গিয়ে  বিকেভঞ্জন থেকে ৪ কিমি দূরে Sandakaphu পৌঁছান যায়। ফেরার সময় গুরদুম, শ্রীখোলা হোয়ে রিম্বিক এবং বিজনবাড়ি দেখে দার্জিলিং-এ ফিরে আসা যায়। সময় নিয়ে বের হলে যাওয়ার সময় প্রথম রাত টুমলিং, দ্বিতীয় রাত কালপোখরিতে থেকে তৃতীয়  দিন Sandakaphu পৌঁছে যাওয় যায়। ল্যান্ডরোভার বা জিপে Sandakaphu ঘুরতে চাইলে গুরদুম ও শ্রীখোলা না দেখা রয়ে যায়।

Phalut :- 
সান্দাকফু থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে Phalut সবুজ উপত্যকা সামানদেন পার হোয়ে যেতে হয়। মেঘমুক্ত আকাশে Phalut থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং এভারেস্ট চলে আসে দৃশ্যপটে। Phalut-এর সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তও অনন্য মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করে। Phalut থেকে ঘুরে আসতে পারেন রামাম সহ সিংগালিলা পাস। Sandakaphu থেকে পায়ে হেঁটে বা জিপে করে ঘুরে নেওয়া যায় Phalut.


Mangpoo :- 
পাহাড়ি জেলা দার্জিলিঙের একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত Mongpoo নৈসর্গিক পাহাড়ি সৌন্দর্যে ভরপুর। Mongpoo Hills-এ ঘেরা রবীন্দ্রভবন পর্যটকদের কাছে প্রধান দ্রষ্টব্য। দার্জিলিং থেকে ঘুম পাহাড় হোয়ে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তায় 'সাড়ে ছ-মাইল' গ্রাম থেকে নিচের দিকে নামতে নামতে ১৭ কিমি দক্ষিণে Mangpoo. Rabindra  Bhawan-এ রবীন্দ্রনাথের Mangpoo বসবাসের সময়ের পাণ্ডুলিপি, চেয়ার, টেবিল এবং ছবি আঁকার সরঞ্জাম সযত্নে রক্ষিত। Mangpoo-ত সিংকোনা চাষ হয় এবং  সিংকোনা প্রসেসিংয়ের কারখানাও রয়েছে। রবীন্দ্রভবনের পাশেই রয়েছে শ্রমিকভবন। Darjeeling বা Ghum Station থেকে মিনিবাস অথবা ভাড়ার গাড়িতে সাড়ে ছ-মাইল হোয়ে Mangpoo যাওয়া যায়। এছাড়া কলকাতা থেকে গাড়িতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং হিল কার্ট রোড দিয়ে ঘুম পাহাড় গিয়ে সাড়ে ছ-মাইল হয়ে Mangpoo. অথবা কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি গিয়ে বাস বা গাড়িতে ঘুম স্টেশন হোয়ে ঘুম থেকে গাড়িতে মংপু।

Kalimpong :-
শিলিগুড়ি থেকে ৬৯ কিমি ও দার্জিলিং থেকে ৫১ কিমি দূরে Kalimpong অবস্থিত। কাঞ্চনজঙ্ঘা সহ পান্ডিম, সিনিয়লচু, কাব্রু, জানু পর্বতশৃঙ্গ দেখা যায় Kalimpong থেকে। দেলোপাহাড়ে আছে থারপা চোলিং গুম্ফা। রাস্তায় পড়ে স্কটিশ মিশনারি অ্যান্ডারসন গ্রাহামস প্রতিষ্ঠিত গ্রাহামস হোম স্কুল। রয়েছে দুরপিনদন্ড পাহাড়, জংডং পালরি ফোব্রাং গুম্ফা, জেলেপলা ভিউপয়েন্ট এবং পাহাড়ী ঢালে গল্ফকোর্স। নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা, রিয়াং, রেতি নদীও। দেখুন তংসা মনাস্ট্রি, রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত গৌরীপুর হাউস, চিত্রভানু আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফট সেন্টার, মঙ্গলধাম মন্দির, কালীমন্দির ও নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার সহ বিভিন্ন নার্সারিতে অর্কিড ও ক্যাকটাস। Kalimpong-এ পাঁচটি ঋতু দেখা যায় বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ, শীত ও বর্ষা। Yearly  temperatureof of Kalimpong ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে ওঠানামা করে। গ্রীষ্মের পরে আসে বর্ষা জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত সহ ধ্বস নামে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি শীতকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং থেকে বাস বা অন্যান্য গাড়িতে Kalimpong যাওয়া যায়।

Hotels in Kalimpong:-
There are some hotels of Kalimpong and Kalimpong hotels Phone numbers.

Hotel Abira, Phone:- 09434512991. Mystie Orchid retreat, Phone:- 09830538832. J P Lodge,  Phone:- 09749387669. Morgan House, Phone:- 09733008776. Delo Tourist Lodge, Phone:- 09903111000.

Lava Village:- কালিম্পং থেকে ৩৪ কিমি দুরে সবুজ অরণ্যে পাহাড়ি গ্রাম Lava-র গুম্ফা চত্বর থেকে শ্বেতশুভ্র হিমালয় দৃষ্টি সুখে ভরপুর করে তোলে। টিফিনদাঁড়া ভিউপয়েন্ট থেকে হিমালয়ে সূর্যোদয় মনে নতুন রঙ লাগায়। নেওড়াভ্যালি নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার ছাঙ্গে ফলস, নেওড়াভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক সহ ১৩ কিমি দূরে সুন্দর সাজানো ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম রিকিসমও দেখে নেওয়া যায় Lava Village গিয়ে । এছাড়া পাহাড়ি গ্রাম চুমারচিন হোয়ে চার কিমি গিয়ে ওক, পাইন, বার্চ, দেবদারুতে মোড়া পাহাড়ি শান্ত জনপদ পেডং-ও অনন্য সুন্দর। Lava-র সব থেকে কাছের স্টেশন নিউ মাল জংশন ।

Lolegaon :- 
হিমালয়ের কিনারায় অবস্থিত একটি ছোট্ট লেপচা গ্রাম Lolegaon. এটি Lava Village থেকে ২৪ কিমি দুরে ১৬৭৫ মিটার উচ্চতায় Kalimpong-এর মধ্যে অবস্থিত। শিলিগুড়ি থেকে ১২৪ কিমি দুরে অবস্থিত Lolegaon শিলিগুড়ি থেকে ৪ ঘন্টা ড্রাইভ করে কালিম্পং ও লাভা হয়ে পৌঁছান যায়। Lolegaon-এর কাছের শহর ৫৫ কিমি দুরে কালিম্পং। Lolegaon থেকে ১ কিমি দুরে কাফের থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার প্যানোরামিক ভিউ অনন্য। ঝান্ডি ধারা থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য অনবদ্য।ক্যানোপি ওয়াকে হাঁটুন এখানে এবং নিমবং, চারখোল, রেশিখোলা, সামতাহার, চুইখিম ঘুরে নিতে পারেন Lolegaon থেকে।

Rishyap :- 
লাভা থেকে ১১ কিমি দূরে পাইন-ধূপির অরণ্যে ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি Rishyap Village. Rishyap থেকেও হিমালয়ও দৃশ্যমান এবং সূর্যোদয়/সূর্যাস্ত মনোমুগ্ধকর। নিউ মাল জংশন থেকে গাড়ি নিয়ে লাভা হয়ে Rishap যেতে পারেন অথবা নিউ জলপাইগুড়ি গিয়ে সেখান থেকেও গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি Rishyap পৌঁছতে পারেন। Temperature of Rishyap গ্রীষ্মকালে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতে তাপমাত্রা নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে এখানে।

Lataguri :-  জলপাইগুড়ি জেলায় নেওড়া নদীর তীরে একটি Little Town Lataguri. Lataguri ৩১ নং জাতীয় সড়কে এবং Gorumara  National park-এর কাছে রয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে ৮০ কিমি এবং নিউ মাল জংশন থেকে সড়কপথে ৩০ কিলোমিটার দূরে Lataguri Town.গরুমারা ও চাপরামারি অভয়ারণ্যের প্রবেশের জন্য অনুমতিপত্র, এই Lataguri Forest Department-এর Office থেকে সংগ্রহ করতে হয়। চাপরামারি অভয়ারণ্যটি Lataguri থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এবং এখানে একটি Nature Interpretation Center আছে। যেখানে বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে, রয়েছে একটি ডিয়ার পার্ক ও ছোটখাটো বেশ কিছু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। Lataguri থেকে ১৪ কিমি দূরে মূর্তি নদীটিও নির্জন সৌন্দর্যে ভরপুর।

Hotels in Lataguri:- 
There are some Information about Lataguri hotels and contact number of Lataguri hotels.

Banyan tree Resort, Phone:- 08697554321.
Sun City Lataguri,  Phone:- 03340251111. Jupiter Resort,  Phone:- 09434512991. Orchid Resort, Phone:- 09007125566. Pasakha Inn, Phone:- 09932897255. Resort Sonargaon, Phone:- 09830344802.

Gorumara National Park :- উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স অঞ্চলের জলদাপাড়া-চাপড়ামারি-গোরুমারা রেঞ্জের এই National  Park-টি জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত। লাটাগুড়ি থেকে চালসার রাস্তায় Gorumara National Park-এ প্রবেশের প্রধান পথ। ১,৩০০ বর্গ কিমির শাল, সেগুন, শিমূল, পলাশ, বহেড়ার
এই Gorumara Forest-এ, গণ্ডার, গউর, হরিণ, বুনো শুয়োর, ময়ূর প্রভৃতি পশুপাখির বসবাস এবং প্রান্তসীমায় রাভা, রাজবংশী, মেচ, কোঁচ, ওঁরাও, মুন্ডা ও টোটো উপজাতির লোকজন বসবাস করে। বয়ে চলেছে তিস্তা, তোর্সা, মালঙ্গী, জলঢাকা, রায়ডাক, সঙ্কোষ, মূর্তি, কালজানি প্রভৃতি Gorumara-তে। ১৯৭৬ সালে এটি জাতীয় উদ্যানের শিরোপা পায়। গরুমারায় মেদলা, চাপড়ামারি, যাত্রাপ্রসাদ রাইনো পয়েন্ট, চুকচুকি ও খুনিয়া চন্দ্রচূড় ওয়াচ-টাওয়ার মিলে মোট পাঁচটি ওয়াচ-টাওয়ার রয়েছে। Gorumara  National Park-টি ভারতীয় গন্ডার প্রজনন ও পালনের জন্য সুবিখ্যাত৷ ২০০৯ সালে Park-টিকে পরিবেশ ও বন-মন্ত্রণালয় সেরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকা বোলে ঘোষণা করেছেন। Temperature of Gorumara নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং  মার্চ-এপ্রিলে ২৪ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া মে-অক্টোবর মাসে ২৭ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিলিক্ষত হয়। মে-এর মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়  বর্ষাকাল।

Hotels in Gorumara:- 
There are some Gorumara Hotels and Gorumara hotels contact numbers.

Jungle Queen Resort, Phone:- 09434060737. Dooarshini Resort, Phone:- 09831380779. Priti Forest Resort, Phone:- 09748372444. Tuskers Den Forest Resort, Phone:- 09932535334. Panchavati Forest Resort,  Phone:- 09832068303. OYO Resort Gorumara Nest, Phone:- 01246201614. Aranya Jungle Resort, Phone:- 09733005454.

Murti :- চালসা থেকে ৮ লাটাগুড়ি থেকে ১৪ এবং  জলপাইগুড়ি থেকে ৬০ কিমি দুরে এই ছবির মতো সাজানো Murti গরুমারা এবং চাপড়ামারির খুব কাছে অবস্থিত। Murti ডুয়ার্স অঞ্চলের Murti River-এর তীরে অবস্থিত প্রকৃতি ও পক্ষীপ্রেমিদের এক অসাধারণ ভালোবাসার জায়গা। বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ সহ পশুপাখির বসবাস Murti-তে এবং Murti River পার হলে পানিঝোরাতে এক অনবদ্য পিকনিক স্পট। Murti River Bridge পার হোয়ে খুনিয়া মোড় চেকপোস্ট থেকে কিছুটা এগোলে চন্দ্রচূড় ওয়াচটাওয়ার থেকে ঘাসজমিতে হাতি ও বাইসন দেখতে পাওয়া যায়।

Chapramari Wildlife Reserve :-
জলপাইগুড়ি জেলায় ১৯৭৬ সালে Chapramar  অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে ওঠে। চালসা এবং লাটাগুড়ি থেকে ৩০ কিমি দূরে এবং মূর্তির কাছেই Chapramari অবস্থিত। এই ৯৬০ হেক্টর Murti National Park-এ জলাজমি, সবুজ ঘাসের চারণভূমিতে হাতি, বন্য বরাহ, সম্বর হরিণ, চিতাবাঘ ও বেঙ্গল টাইগার দেখতে পাওয়া যায়।

Shyamsing :- মাটিয়ালির ছোট পাহাড়ি Shyamsing Village-টি জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং সীমান্তের পাদদেশে ৩০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। চালসা থেকে মেটেলি চা-বাগিচা পার হয়ে সবুজ অরণ্য ঘেরা পাহাড়ি পথে ২৫ কিমি দূরে Shyamsing এবং সামসিং থেকে ৪ কিমি দূরে পাহাড়ি পথের শেষে কাঠের ঝোলা সাঁকোর নীচে তরুণী নদী সুনতালে খোলা। চা বাগিচা, পাহাড় ও সুন্দর বনজ প্রাকৃতিক শোভামণ্ডিত হওয়ার ফলে সারা বছরই পর্যটক আকর্ষণ থাকে। মেঘমুক্ত দিনে ভুটানের তুষার আচ্ছাদিত পাহাড়গুলিও Shyamsing থেকে দেখা যায়। Shyamsing-এর  কুয়াশা, বৃষ্টি এবং বয়ে চলা শীতল বাতাসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রচুর পিকনিক স্পট রয়েছে। যার মধ্যে লালি গুরাস, রকি আইল্যান্ড এবং সানতলে খোলা উল্লেখ্য। নেওড়া উপত্যকা জাতীয় উদ্যানটি Shyamsing থেকে ১ ঘণ্টা দূরে অবস্থিত। এখানে পাহাড়ী এবং মাধেসিয়ার লোকেরা বসবাস করে এবং এখানকার চাক লে ইন্ডিয়া পিজ্জা বিখ্যাত পিজ্জা।

Jhalong :- 
জলপাইগুড়ি থেকে ৭৭ এবং শিলিগুড়ি থেকে ৯৯ কিমি দুরে Jhalong অবস্থিত। খুনিয়া মোড় থেকে কুমানি/গৈরিবাস হোয়ে পথ গিয়েছে Jhalong-এর এবং Jhalong ঘেঁষে বয়ে চলেছে জলঢাকা নদী। বনবাংলোর কাছ থেকে ঝোলুং ঝোরাটি আঁকবাঁকা ভাবে গিয়ে মিশেছে জলঢাকা নদীতে। Jhalong থেকে পাহাড়ি পথে গিয়ে ভুটান সীমানার বিন্দুতে রঙিন কাঠের বাড়ির জানলায় ও বারান্দার টবে সাজানো নানান অর্কিড আর ফুল স্বর্গীয় সুখে ভরিয়ে তোলে।

Jaldapara National park:-
এই লম্বা এলিফ্যান্ট ঘাসবিশিষ্ট সাভানা অঞ্চলটির প্রধান আকর্ষণ একসিং গন্ডার। এছাড়াও Jaldapara National Park-এ বেঙ্গল টাইগার, হাতি, সম্বর হরিণ, মায়া হরিণ, চিতল হরিণ, হগ ডিয়ার, বুনো শুয়োর ও গৌর বসবাস করে। Jaldapara পক্ষীপ্রেমিদের স্বর্গরাজ্য। Jaldapara-য় বেঙ্গল ফ্লোরিক্যান, ক্রেস্টেড ইগল, পালাস’স ফিশিং ইগল, শিরকা, বনমোরগ, ময়ূর, তোতা, বেঙ্গল ফ্লোরিক্যান, লেসার পেইড হর্নবিল দেখতে পাওয়া যায়। সরীসৃপদের মধ্যে  আছে অজগর, গিরগিটি, ক্রেট, কোবরা, গুই সাপ, গিকোস ও মিষ্টি জলে বসবাসকারী কচ্ছপের ৮টি প্রজাতি। ১৫ জুন থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় Jaldapara National Park-টি পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে। জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গলের গভীরে যাওয়া যায় এবং বন ও তৃণভূমিতে গন্ডার, হাতি সহ অন্যান্য জীবজন্তু প্রত্যক্ষ করা যায়। Elephant Safari ছাড়াও Jaldapara National Park-এ Car Safari-রও ব্যবস্থা আছে।

 Places to visits in Jaldapara : -

Totopara :-
অভয়ারণ্য সন্নিহিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নৃতাত্ত্বিক পর্যটকস্থল টোটোপাড়ায় পৃথিবীর একমাত্র টোটো-উপজাতিদের বসবাস। এই গ্রামে এসে উপজাতীয় রীতিনীতি উপভোগ করা পর্যটকদের কাছে অনন্য অভিজ্ঞতা।

Chilapata Forests :-
 চিলাপাতা অরণ্যে, এই অঞ্চলের ১৫০০ বছরের পুরানো নল রাজার দুর্গের একটি দরজা ও প্রাচীর দেখা যায়, যেটি পঞ্চম শতকে গুপ্তযুগে তৈরি হয়েছিল। যে কারণে এটির ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিক গুরুত্ব রয়েছে। বর্তমানে অসংরক্ষিত এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ভয়ে খুব বেশি খননকার্য চালানো হয়নি। চিলাপাতা বনাঞ্চলে দূর্গ প্রাচীরে এক বিশেষ প্রজাতির গাছ দেখা যায়। যার থেকে মানুষের রক্তের মতো রংঙের তরল নিঃসৃত হয়। স্থানীরা মনে করেন, এই গাছ অন্য কোথাও দেখা যায় না এবং এর উদ্ভিদ বিজ্ঞান ভিত্তিক কোনো নাম জানা যায়নি।
শীলিগুড়ি থেকে বাসে অথবা জীপে জলদাপাড়া যাওয়া যেতে পারে। এছাড়া শিয়ালদহ ষ্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বা নিউ মাল জংশন বা হাসিমারা গিয়ে সেখান থেকে ভাড়া গাড়িতে জলদাপাড়া। তেনজিং নোরগে বাসষ্ট্যান্ড থেকে জয়গাঁর বাসে মাদারিহাট গিয়ে বাসস্ট্যান্ডের সামনে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য।

Khairbari :- মাদারিহাট থেকে ১০ কিমি দূরের খয়েরবাড়িতে নেচার পার্ক অ্যান্ড লেপার্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার ঘুরে নেওয়া যায়। এছাড়া লেপার্ড সাফারি পার্কের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সহ দেখে নেওয়া যায় এখানে এসে টাইগার রেসকিউ সেন্টার।

Hotels in Jaldapara:-
There some hotels of Jaldapara and Jaldapara hotels contact numbers.

Tithing Lodge,  Phone:- 09832565615. Jaldapara Jungle Camp, Phone:- 08972353003. Jaldapara Inn Resort,  Phone:- 08584032635. Jaldapara Ecostay, Phone:- 09733107345. OYO Resort Heaven Inn, Phone:- 01246201616. Jaldapara Wild Hut, Phone:- 09832048343. Jaldapara Tourist Lodge,  WBTDCL, Phone:- 07430809428.

Buxa-Jainti
আলিপুরদুয়ার থেকে ১৭ কিমি দুরে বুড়িতোর্সার পূর্বপাড়ে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের চিলাপাতা জঙ্গল পার হোয়ে ৭৬৫ বর্গ কিমি বনাঞ্চল জুড়ে Buxa Forest.।ঘন সবুজ Buxa Forest-এর মাঝে Jainti River ও পাহাড় নিয়ে ছোট্ট জনপদ Jainti. নদীর বুকে জেগে থাকা ভেঙ্গে যাওয়া রেলপথের স্মৃতিচিহ্ন এবং ঘণ্টা দুয়েকের দূরত্বে মহাকাল মন্দির। ২ কিমি দূরে পুখরিপাহাড়ে চূড়োয় টলটলে স্বচ্ছ জলের হ্রদ। ৮ কিমি দূরে রয়েছে ভুটানঘাট। পাহাড় বেয়ে জঙ্গলে ঘেরা হাঁটা পথে ৫ কিমি দুরে বক্সা পাহাড়ের চুড়োয় ঐতিহাসিক Buxa Fort.

Hotels in Buxa :- 
There are some hotels of Buxa and Buxa Hotels contact numbers.

Buxa Valley Resort,  Phone:- 09434043463. Buxa Jungle Lodge, Phone:- 08509318985. Banante Resort,  Phone:- 09230543807. Resort Jayanti Hill Jungle Camp, phone:- 09547124210. OYO Sandhana Homstay or OYO Bon Pahari, Phone:- 01246201616. Jayanti Aaltapori Homestay, Phone:- 08101830794. 

Cooch Behar :- 
District Town Cooch Behar-এর সমান্তরাল রাস্তা গুলির কাটাকুটি খেলা দেখলে অনুভব করা যায়, Cooch Behar-ঐ বাংলার প্রথম পরিকল্পিত Town. ১৯৫০ পর্যন্ত স্বাধীন থাকা Coch Behar Town-এর পথে পোড়ে ইতিহাস, চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য ও কোচবিহারের নিজস্ব শৈলীর কিছু বাড়ির সৌন্দর্য যথেষ্ট আকর্ষণীয়। অজস্র পুকুরে ভরা নির্ভেজাল পরিবেশের এই শহরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত-ও কাজের খোঁজে এসেছিলেন। কেশবচন্দ্র সেনের মেয়ে সুনীতিদেবী ছিলেন এই শহরের মহারানী। অনন্য সুন্দরী জয়পুরের মহারানী গায়ত্রীদেবী ছিলেন শহরের রাজকন্যা। বরোদার রাজপরিবারের সঙ্গে Cooch Behar মহারাজাদের আত্মীয়তা ছিল, আত্মীয়তা ছিল জোড়াসাঁকোর সঙ্গেও। বারোদার রাজপরিবারের মেয়ে ইন্দিরা রাজে এই বাড়ির গৃহবধূ হয়ে আসেন। এই শহরে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অতিবাহিত করেছিলেন সাহিত্যিক অমিয়ভূষণ মজুমদার। কোচবিহারের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর আভিজাত্যের প্রতীক এই Town. Cooch Behar-এর প্রধান আকর্ষণ ইতালীয় স্থাপত্যকলায় নির্মিত রাজপ্রাসাদ, যেটি উত্তর-দক্ষিণে ১২০ মিটার ও পূর্ব-পশ্চিমে ৯০ মিটার বিস্তৃত ছিল। ১৮১২ সালে পুরানো Rajbari-টি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ১৬ বছর পরে নতুন ভবনটি তৈরি হয়েছে। ম্যারিলিয়র এবং মার্টিনের পরিকল্পনায় তৈরি দ্বিতল প্রাসাদটির চূড়ায় আছে বিশাল ধাতুনির্মিত গম্বুজ। রোমের সেন্ট পিটার্স চার্চের অনুকরণে ১২৪ ফুট উঁচু দরবার কক্ষটির চারদিকে চারটি সুবিশাল খিলানের উপরে রঙিন কাচের জানলা এবং রয়েছে ৬৯ টি ঘর, যার মধ্যে ১৫ টি শয়নকক্ষ। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সময়ে দরবারকক্ষ ও Rajbari-র ভিতরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ২০ টাকার টিকিট কেটে দেখে নেওয়া যায়।বাংলা চারচালার অনুকরণে চারকোনা ঘরের বাঁকানো কারনিসের ওপর গম্বুজ বসিয়ে ১৮৮৫ সালে রাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ মদনমোহন মন্দিরটি তৈরি করেন। সামনে সুদৃশ্য বৈরাগী দিঘি রাস্তায় সার বাঁধা পামগাছ সহ চারধারে ফুলের বাগান দিয়ে সাজানো এ এক অন্যরকম মন্দির। যে মন্দিরটির সঙ্গে কোচবিহার শহরবাসীর আত্মার যোগাযোগ এবং তাদের জীবনের নানান শুভ-অশুভ মুহূর্তের সাক্ষী থাকেনও মদমমোহন। এখানে রাসপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১৫ দিন ধরে চলে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর রাসমেলা। কাছেই সাগরদিঘিতে সাগরের স্বাদ পাওয়া যায়। যেটি কলকাতার বিবাদী বাগের লালদিঘির থেকেও প্রায় আড়াই গুণ বড়। এই জলাশয়ের চারদিকে বিভিন্ন দপ্তর বসেছে, ঘাট সহ মাঝে মাঝে বসার ব্যবস্থা রয়েছে এবং শীতে পরিযায়ী পাখির মেলা বসে সাগরদিঘিতে। একপাশে পাকিস্তানের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যুদ্ধট্যাঙ্ক এবং ঠিক তার পরেই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় গ্রন্থাগার রয়েছে। যেখানে ৮০০০০-এর বেশি দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের সংগ্রহ রয়েছে। এর সামনে ক্ষুদিরামের অনিন্দ্যসুন্দর এক পূর্ণাবয়ব এবং এর কিছুটা দূরে রয়েছে সাহিত্যসভা। রাজপরিবারের প্রামাণ্য তথ্যাদি ছাড়াও এখানে দেখে নিতে পারেন নারায়ণী মুদ্রা। যেটি ভারতভুক্তির আগে Cooch Behar-এ প্রচলিত ছিল এবং এই মুদ্রা শিবটঙ্কা নামেও পরিচিত। বর্তমানে বিরল এই মুদ্রা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত হয়েছে। নদীর বাঁধের কাছে রানীর বাগান এবং রাজপরিবারে সমাধিস্থল যেখানে কয়েকটি আকর্ষণীয় সৌধ আছে। কাছেই দেবীবাড়িতে বড়দেবী নামে পরিচিত দুর্গা বা ভবানী যিনি কোচ রাজাদের কূলদেবী অসুর সহ একাকিনী এখনও পূজিতা।

Visiting places of Cooch Behar town :- 

শহর জুড়ে মেটে লাল রঙে রঙিন জেনকিনস স্কুল, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কলেজ, জেলা হাসপাতাল, প্রধান ডাকঘর, পারিজাত ভিলা, ল্যান্সডাউন হল, ভিক্টর প্যালেস, চিলা রায় ব্যারাক, কোচবিহার ক্লাব, নীলকুঠি, ব্রাহ্মমন্দির ঘুরে দেখা যায়।

How to go Cooch Behar :- 

৩১ নং জাতীয় সড়ক কোচবিহারের সংঙ্গে সংযোগে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এছাড়া রেলপথ ও বিমানে কোচবিহার যাওয়া যায়। নিউ কোচবিহার মেন রেলস্টেশন এবং কোচবিহার বিমানবন্দর রয়েছে। শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে তিস্তা তোর্সা, কামরূপ, উত্তরবঙ্গ ট্রেন সহ প্রায় সমস্ত গুয়াহাটি যাওয়া ট্রেনগুলি কোচবিহারের উপর দিয়ে যায়। 

Weather in Cooch Behar :-
Temperature of Cooch Behar 
গ্রীষ্মকালে কোচবিহারের গড় তাপমাত্রা থাকে ১৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং শীতে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।



Gosanimari :- 
ছোট্ট জনপদ Gosanimari-তে প্রাচীন কামতেশ্বরীর মন্দিরটি ১৬৬০ সালে তৈরি করেন মহারাজ প্রাণনারায়ণ বলে ধারণা করা হয়। অনেকেই মনে করেন অতীতে রাজপ্রাসাদটি Gosanimari-তে ছিল এবং দেবী কামতেশ্বরী ছিলেন রাজ পরিবারের আরাধ্যাদেবী। মন্দির থেকে কিছুটা দুরে পুরাতত্ত্ব বিভাগের খননকার্য চলেছে রাজপাটে এবং আবিষ্কৃত হয়েছে টুকরো টুকরো ইতিহাস। সরকারি / বেসরকারি বাস বা মিনিবাসে দিনহাটা হয়ে Gosanimari যেতে সময় লাগে ঘন্টা দেড়েক মতো এবং ভাড়ার বা নিজিস্ব গাড়িতে আরোও কম।

Baneswar :- Baneswar কোচবিহার থেকে ১২ এবং আলিপুরদুয়ার থেকে ১৩ কিমি দূরে অবস্থিত। শিলিগুড়ি ও কোচবিহার থেকে Baneswarও New Baneswar Railway Station-এ ট্রেন  রয়েছে। Baneswar বিখ্যাত শিব মন্দির এবং শিব পুকুরে থাকা মোহন নামক কচ্ছপের জন্য। অসুররাজ বান ঈষ্টদেবতা শিবকে পাতালপুরীতে স্থাপন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে শিবলিঙ্গটি বানেশ্বরে স্থাপন করেণ। Baneswar-এ প্রতিবছর মাঘ মাসের চতুর্দশীর দিনে দেবত্র কমিটি শিবমেলার আয়োজন করে।

Madhupur Satra :- 
অসমীয়াদের বিশেষত বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মানুষদের অন্যতম তীর্থভূমি Madhupur Satra কোচবিহারের Madhupur-এ অবস্থিত। এই  Madhupur-এ মহাপুরুষ শঙ্করদেব এবং মাধবদেব দেহত্যাগ করেছিলেন। ১৬ শতকে রাজা নরনারায়ণের সময়ে এই Satra-টি তৈরি করা হয়েছিল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী মহেন্দ্র মোহন চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ১৯৬৮ সালে শঙ্করদেবের সমাধি মন্দিরটির নির্মাণকার্য্য শেষ হয়। প্রধান গুরুর সমাধি মন্দির, কীর্ত্তনঘর ও মণিকূট আছে Madhupur-এ। গুরু মন্দিরের কাছাকাছি পাঁচটা আতাঘর আছে। সত্রাধিকার ছাড়াও সত্রে উদাসীন ও কেবলীয়া ভক্তজনেরা রয়েছেন। Satra-এ যাত্রীদের থাকার জন্য প্রায় ৩০০ জন মানুষের সকল সুবিধা যুক্ত একটা যাত্রীগৃহ আছে। Satra-এর সঙ্গে  অসম সরকারের একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে এবং প্রধান সমাধি মন্দিরে গুরুর ব্যবহৃত বসার খাট, খড়ম, রাজার দেওয়া লাঠি, গুরুর হাতের জপমালা, গুরুর নিজের হাতে লেখা সাঁচিপাতার গুণমালা পুঁথি, তার বৃন্দাবনী বস্ত্রের অংশবিশেষ, গুরুর গুয়া-পান গ্রহণ করা টেমি-কাটারি সহ পান রাখার পাত্র, গুণমালা পুঁথি লেখার দোয়াত-কলম ইত্যাদি সংরক্ষিত রয়েছে। রয়েছে মাধবদেবের লেখা পুঁজিটি, তার জলপান করার লোটা ও দুজন গুরুর শরীরের অস্থি। কোচবিহার শহর থেকে ১২ কিমি এবং আলিপুরদুয়ার থেকে ৩২কিমি দুরে Madhupur অবস্থিত। কোচবিহার থেকে মধুপুর যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যায়।

Rasikbil :-
আলিপুরদুয়ার থেকে ৭৪ কিমি এবং কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে দেড় ঘন্টা দুরে অবস্থিত Rasikbil. Rasikbil সবথেকে কাছের রেলস্টেশন কামাক্ষাগুড়ি Rasikbil থেকে সাত কিলোমিটার দূরে। স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে  সহজেই যাওয়া যায় Rasikbil. এছাড়া কলকাতা থেকে আসাম যাওয়ার সব ট্রেন ছাড়াও উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, পদাতিক এক্সপ্রেসেও যাওয়া যেতে পারে। এই হ্রদটি পরিযায়ী পাখিদের স্বর্গরাজ্য এবং পাখিরা Rasikbil-এ বাসাও বাঁধে। পানকৌড়ি সহ নানান প্রজাতির মানিকজোড় এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায় এখানে এসে। এছাড়াও একটি ডিয়ার পার্ক সহ কুমির এবং ঘড়িয়াল পুনর্বাসনকেন্দ্র, অজগর ঘর, পক্ষীশালা ও কচ্ছপ উদ্ধার কেন্দ্র রয়েছে Rasikbil-এ।

Hotels in Cooch Behar:-
There are some hotels of Cooch Behar and Cooch Behar hotels contact numbers.

Hotel Royal Palace, Phone:- 0358222210. Hotel Galaxy, Phone:- 03582225549. Hotel Debdutta, Phone:- 09832437525. OYO Hotel Heritage, Phone:- 01243986371. Hotel Yubraj, Phone:- 09735526252. Cooch Behar Hotel, Phone:- 03582222343. Hotel Bengal,  Phone:- 08436723106. Hotel Mikado, Phone:- 03582223537. Hotel B. D , phone:- 09800399348. Hotel Mayur, Phone:- 09126100999.










বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২১

Purulia :- Purulia Tour Plan / পুরুলিয়া ভ্রমণ গাইড

শীত গ্রীষ্ম বর্ষা পুরুলিয়াই পর্যটকদের ভরসা।
কংক্রিট শহরের দূষণ কোলাহল থেকে মুক্তির স্বাধ পেতে, একটু দূরে প্রকৃতির কোলে দূষণহীন বাতাসে ২ থেকে ৩ দিনের অবসরে ঘুরে আসুন স্বপরিবারে অথবা বন্ধুদের সাথে purulia। Purulia ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই পুরুলিয়া সম্পর্কে একটু জেনে রাখা ভালো। Purulia tourism এর জনপ্রিয়  জায়গা গুলোকে দুটি ভাগে ভাগকরে নিতে হবে। যার একটি অংশ হবে Garpanchakot-Baranti সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল এবং আর একটি হচ্ছে Ajodhya-Baghmundi সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। একটি একটি অংশ করে ঘুরে নিতে পারেন এবং এক একটি অংশ ঘুরতে ২ থেকে তিন দিন করে সময় লাগবে। আবার যদি পুরোটা একসঙ্গে  ঘুরতে চান তাহলে ৩ থেকে ৫ দিনে সম্পূর্ণ করা যেতে পারে Purulia Tour।

Purulia Tour Plan :- 
২ রাত ৩ দিন
১ম দিন:-
পায়ে পায়ে baranti ঘুরে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে চলে যান biharinath Hill ও Temple দেখতে। সূর্যাস্তের আগেই ফিরে এসে বড়ন্তিতে সূর্যাস্ত দেখা এবং বড়ন্তিতে রাত্রিযাপন।

২য় দিন:-
সকালে খাবার খেয়ে চলে যান জয় Jaychandi Hill/ Ajodhya Pahar Hilltop/Mayur Pahar, marble Lake, Upper Dam, Lower Dam, Bamni Falls, Turga Falls, Charida Village, P Hills সহ সাইটসিন করে রাতে ফিরে বড়ন্তি রাত্রিযাপন।

৩য় দিন:-
সকালের খাবার খেয়ে হোটেল  থেকে চেক আউট করে চল যান Garpanchkot, Panchet Dam, DVC Park, Maithon Dam, Kalyaneswari Temple ঘুরে কলকাতার উদ্দ্যেশ্যে রওনা।

অথবা
২ রাত্রি ৩ দিনের পুরুলিয়ার

প্রথম দিন
বরাভূম-বাঘমুন্ডি-অযোধ্যা হিলটপ-হিলটপ সাইটিং।

দ্বিতীয় দিন
ঝালদা রেঞ্জ-মাঠা-মুরগুমা-খয়রাবেড়া-চড়িদা।

অথবা 

প্রথম দিন
আদ্রা-জয়চণ্ডী-বড়ন্তি-লোকাল।

দ্বিতীয় দিন
পাঞ্চেত-গড় পঞ্চকোট-মাইথন।

তৃতীয় দিন 
বিহারীনাথ-শুশুনিয়া দেখে ঘরে ফেরা

Places to visit in Purulia :- 

Garh Panchkot :-
প্রাকৃতিক প্রাচুর্য এবং ইতিহাস একসঙ্গে সংসার করে Purulia District-এর Garpanchakat-এ। পাঞ্চেত পাহাড়ের পাদদেশে সবুজ গালিচা পাতা ভালোবেসে আবেশে। দূর ওই দিগন্ত রেখা পর্যন্ত পাহাড় আর ঘন সবুজ অরণ্যের বুক চিরে কালো পিচের রাস্তা চলে গিয়েছে দুরে বহু দুরে। দিনের বেলা সবুজ অরণ্যে পাখিদের সুমধুর তান আর রাতে অপার নিস্তব্ধতায় মোড়া জ্যোৎস্নাতে পাহাড় এবং জঙ্গলের মধুর মিলন।
গ্রীষ্মের অসহ্য গরম এড়িয়ে যে কোনো ঋতুতেই যাওয়া যায় Purulia। বর্ষায়, সবুজ পাহাড়ের বুক থেকে জলধারা নেমে আসাটা যেনো ছান্দিক কবিতা। বসন্তে, গড়পঞ্চকোটের রূপসজ্জায় নতুন মাত্রা। গড়পঞ্চকোটে বহু প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসস্তূপও রয়েছে। Bisnupur-এর জোড়বাংলা মন্দিরের অনুরূপ পাথর দিয়ে তৈরি হওয়া Pancharatna temple টি গড়পঞ্চকোটের অন্যতম দ্রষ্টব্য।

Jay chandi Pahar :-
আদ্রা ও রঘুনাথপুর শহরের মাঝখানে রয়েছে জয়চণ্ডী পাহাড়। পুরুলিয়া জেলার Jay chandi Pahar -এর টানেই প্রতি বছর এখানে আসেন বহু মানুষজন। শীতের সময়ে অভিযাত্রীরা ভিড় জমান পাহাড়ের পাদদেশে। এখানের ক্যাম্পে চলে পর্বতারোহন প্রশিক্ষণ। পাহাড়ের উপরে আছে Chandi Mandir সহ ভেষজ উপাদানে পরিপূর্ণ Jay chandi Pahar ঘুরে আসা যেতেই পারে। ঋতুবদলে বদলেও যায় প্রকৃতিও রূপ-রস-গন্ধ। নিজেই রাঙায় নিজেকে বহুরঙে রঙ্গিলা। পুণ্যার্থীরাও আসেন ৭০০ কোটি বছর আগে তৈরি হওয়া এই আগ্নেয় শিলার দেশে। প্রাচীন Chandi Temple সহ বর্গী হামলার কারণে সেই সময়ে তৈরি ‘ওয়াচ টাওয়ার’ দাঁড়িয়ে এখনও। সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশের অনেক গুলো দৃশ্যের শ্যুটিং হয়েছিল এই Jaychandi Pahar -এ।

Barhanti :- 
জয়চণ্ডী পাহাড় থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে শান্তসবুজ বড়ন্তি নামের এই ছোট্ট গ্রামটির পাশ দিয়ে কুলকুল রবে বয়ে চলেছে Baranti River। লাল মাটিতে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে শাল, সেগুন, শিশু, মহুয়া, পলাশেরা চারিদিকে। সবুজে মোড়া Baranti Forest-এ খরগোশ, হরিণ, শিয়ালের খুনসুটিতে ভরা। এই আরণ্যক পরিবেশ অনবদ্য অনুভূতি সঞ্চারিত করে শিরা উপশিরায়। সকালে ঘুম ভাঙাবে পাখিরা গানে গানে এখানে। বর্ষায় ঘন সবুজে ছাওয়া পরিবেশ আর বসন্তে পলাশের লালে লাল নববধূর সাজে Baranti প্রিয়তমায়, মনমজে যায় প্রেমউষ্ণতায়। রামচন্দ্রপুর জলাধারে সাঁঝবেলায় অথবা জ্যোৎস্নায় বিচ্ছুরিত হওয়া রুপোলি আভার সঙ্গে দুষ্টু সমীরণ, কেড়ে নেবে প্রানমন Baranti Pahar-এ। রোমান্টিক-নিরালা পরিবেশই Baranti এর অতিরিক্ত পাওয়া।

Jojohatu:- দ্বিতীয় অংশের জজহাতুতে প্রবেশ করতে হয় ঝালদা থেকে ইচাক মোড় হয়ে। নরোহারা কুকী, পাদরি ও ল্যাকড়াকুঁদি ড্যাম নিয়ে Jojohatu. শুধু পলাশের সময় নয় পুরুলিয়ার এই Jojohati সারা বছরই সুন্দর।

 Kuki Dam :-
কুকী ড্যামের পথের দু-ধারে সবুজ ধানক্ষেত ও অনুচ্চ টিলা গুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যাত্রাপথকে বর্ণময় করে তোলে। Kiki Dam এর উপর থেকে আবার আলাদা দৃশ্যসুখ। একপাশে জলাধার এবং আরেক পাশে সবুজের সাথে পাথরময় রুক্ষমূর্তির ল্যান্ডস্কেপের বুক চিরে বয়ে চলেছে খরস্রোতা নদী। এক অদ্ভুত অনুভূতির জন্মদেয় এবং অবশ্যই সেই অনুভূতির ভাগ দেওয়া যায় না।

Padre Dam:- 

পাদড়ী ড্যামে একদিকে চেংটি পাহাড় অন্য দিকে ফ্যান্টমস টেবিল মধ্যে দিয়ে পথ চলার স্বর্গীয় অনুভব অনন্য। Padre Dam আসার আগে দেখা হয় রূপাই নদীর সঙ্গে। Padre Dam থেকে জিলিংসেরেং হয়ে অযোধ্যায় ওঠার রাস্তা গজাবুরুর সান্নিধ্য ছেড়ে জঙ্গলের বুক চিরে উঠে গেছে অযোধ্যায়। দূর থেকে নীল পাহাড়ের ঢালে ঢালে চোখে পড়ে ধুসর মেঘেদের আনাগোনা। লাল মাটির ধারে ধারে শাল সেগুনের বনভূমি। ল্যাকড়াকুঁদি এবং জজহাতু ড্যাম পায়ে হেঁটে দেখে নেওয়া যায়। ল্যাকড়াকুঁদি ড্যামে প্রবেশের পথটা ভারি সুন্দর। অল্প হাইকিং-এর পরেই ড্যামের ধারে চারদিকে অবিন্যস্ত পাহাড়ি ঢেউয়ের বুক দিয়ে লাল রঙের রাস্তা। ড্যামে জল থাকে না একমাত্র বৃষ্টি হলে পাহাড় থেকে নেমে আসা জল এই ড্যামে জমে কিন্তু ল্যান্ডস্কেপ অনন্য। ভাগ্য ভালো হলে এই অঞ্চলের পথে ময়ুরের দেখাও পাওয়া যেতে পারে‌। নরোহারা ড্যাম আর চাতমঘুটু সহ জঙ্গলের ভিতর দিয়ে চলার সময় কানে আসে হরিণ ও ময়ুরের ডাক। ছোট্ট জলাধারের পাশ দিয়ে মাথা উঁচু করে পাহাড়। দূর থেকেও দেখা যায় চেংটি পাহাড় যেনো  মনে হয় আফ্রিকার কোন জঙ্গলে দাঁড়িয়ে। সন্ধ্যের আগে ছেড়ে যাওয়াই ভালো এই অঞ্চল কারণ হাতি-নেকড়েদের বাসভুমি।

 Ajodhya Hills
অযোধ্যা পাহাড় পুরুলিয়া থেকে ৪২ কিমি, কলকাতা থেকে ৩৩২ কিমি, দুর্গাপুর থেকে ১৬৫ কিমি, বাঁকুড়া থেকে ১২২ কিমি দুরে অবস্থিত। এটি ছোটোনাগপুর মালভূমির পূর্বদিকে পুরুলিয়া জেলার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। জঙ্গলবেষ্ঠিত একটি সবুজ শান্ত, অসাধারণ ছবির মতো বেড়ানোর যায়গা এই Ajodhya Pahar। অযোধ্যা পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল চামতাবুড়ু ৭১২ মিটার। এর কাছাকাছি জনপদ Baghmundi। Ajodhya Pahar এর পশ্চিমে রয়েছে সুবর্ণরেখা, উত্তরে কংসাবতী নদী ও কুমারী নদী। Ajodhya Paharযেতে তিনটি পথ ব্যবহার করা হয় শিরকাবাদ ঝালদা ও বাগমুন্ডি হয়ে। অযোধ্যা পাহাড় ভ্রমণের বিস্তৃত অংশ

Weather in Purulia:- 
চরমভাবাপন্ন জলবায়ু অঞ্চল পুরুলিয়া। Temperature of Purulia গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং শীতকালে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পরিলিক্ষত হয়। গ্রীষ্মে অধিক উষ্ণতার সঙ্গে কম আপেক্ষিক আর্দ্রতা দেখা যায়। বর্ষায় আপেক্ষিক আর্দ্রতা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও শীতকালে তা কমে যায়। এই
জেলার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০৫০-১৪২০ মিলিমিটার। গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি স্বল্পতার জন্য খরা দেখা দেয়। জুন থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জেলার বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত হয়। this is General weather of Purulia district.

How to go Purulia :- 
হাওড়া বা সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে পুরুলিয়া জাংশন। ট্রেনে হাওড়া থেকে পুরুলিয়া যাওয়ার দুটি আলাদা রুট আছে, খড়্গপুর-আদ্রা বা  খড়্গপুর-টাটানগর হয়ে। ট্রেন বুকিং লিঙ্ক
 কলকাতার ধর্মতলা থেকে দিন-রাতে সব ধরণের বাসে পুরুলিয়া যাওয়া যায়। বাস বুকিং লিঙ্ক

Car rental in Purulia:-

Maa Babar Ashirbad, Phone:- 9679831513
SBPS, Car Rental, Phone:- 07003940634
New Bharat Travel, Phone:- 07001630659
ArNik Cabs, Phone:- 08597444899.  If you want to rent a car for Purulia Travel. You may contact with these Car rental of Purulia.

Hotels in Purulia :-
Hotel Akash, Phone:- 03252228231.
Hotel Akash Sarovar, Phone:- 08001901901.
Sagar Raj Resort, Phone:- 07076844469.
Purulia Inn, Phone:- 09733255355
Tree Hotel & Resorts, Phone:- 03262306000.
Rupasi Bangla, Phone:- 09434006515.
Hotel Genius, Phone:- 08768502212.
Zaika Resort, Phone:- 08507035005.
Hotel Sagar Ratan, Phone:- 03252226851.
Hotel Pinaki Sadan, Phone:- 09434854845.
If you need Purulia Hotels, contact with these Purulia hotels and get further Information about hotels of Purulia.

Sightseeing at Purulia:-
পাখি পাহাড়, পারডি গ্রাম, পারডি ড্যাম, মাঠা পাহাড়, চড়িদা গ্রাম, তুর্গা ফলস্, তুর্গা ড্যাম, লহরিয়া শিব মন্দির, আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম, বামনি ফলস্, ময়ূর পাহাড়, সীতাকুণ্ড, মার্বেল লেক, মুরগুমা পাহাড়, বড়ন্তি, গড়পঞ্চকোট, জয়চন্ডী পাহাড়, দেউলঘাটা ইত্যাদি।

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২১

Dooars :- Dooars Tourist Spots / ডুয়ার্স ভ্রমণ

Dooars :- 
৪৭৫০ বর্গ কিমি বিস্তৃত থ্রি টি মানে টি, টিম্বার ও ট্যুরিস্টের অনন্য ঠিকানা dooars। সবুজে ঘেরা রহস্য ও রোমাঞ্চে ভরা এর পথ চলা। ১২৫০ কিমি বনভূমি ১৫২ টি চা-বাগান ভরে থাকে অজস্র পাখীর কূজনে। অর্কিড, ছোট নদী, বড়ো নদী মিলে অপরূপ সাজসজ্জা তার। পশ্চিমে তিস্তা পূর্বে সঙ্কোশ নদী সহ বয়ে চলেছে তিস্তা, রায়ডাক, তোর্সা, জলঢাকা, কালজানি, ডায়না, মূর্তি ও জয়ন্তীর মতো পাহাড়ি কন্যারা।

Places to visit in Dooars :- 
বক্সা টাইগার রিজার্ভের দুটো রেঞ্জে মানুষ যেতে এবং থাকতে পছন্দ করে, এক বক্সা ও দুই জয়ন্তী।

Raja Bhat Khawa:- ২১ মাইলের বসতিতে চা বাগানের  কাছে জঙ্গলের কোলে রয়েছে 'NEST ' 

Jayanti:- এখানের প্রধান  আকর্ষণ রিভার বেড। রিভার বেডেও NEST রয়েছে।

Santalabari-  যারা পাহাড়ের উপর থাকতে চান তাদের জন্য এই জায়গাটা বেশ মনোরম এবং এখানেও রয়েছে NEST.
Lepchakha/ Buxa Fort:-  যারা ঘণ্টা দুয়েকের ট্রেক করে বক্সা পাহাড়ের একদম উপরে থাকতে চান। তাদের জন্য রয়েছে এই দুই জায়গাতেই NEST.
Jaldapara National Park:- এখানেও পর্যটকরা দুটো রেঞ্জ যেতে এবং থাকতে পছন্দ করে চিলাপাতা ও মাদারিহাট। 

Chilapata Forest :- জলদাপাড়া ডিভিশনের সব থেকে ভার্জিন আর সুন্দর জঙ্গল। এখানে থাকার জন্য রয়েছে 'নেস্ট'। চিলাপাতা জঙ্গলের একদম কর্নারে থাকার ব্যবস্থা সহ ওয়াচ টাওয়ার রয়েছ। 'রাভা বস্তির' আদিবাসী সংস্কৃতির মডেলে তৈরি এই হোমস্টে।
Mendabari :-  দক্ষিণ মেন্ডা বাড়ি রেঞ্জের এই জঙ্গল খুব ঘন। মানুষ জঙ্গলের মাঝে রাভা গ্রামে থাকার মতো অনুভূতি পাবেন এইখানে। এখানে রয়েছে ' নেস্ট জঙ্গলক্যাম্প। একটু অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী মানুষজনেদের বেশি ভালো লাগবে।
Madarihat :-  যারা প্রপার জলদা পাড়াতে থাকতে চান তারা এখানে থাকতে পারেন। 
Sisamara :- সিসা মারা নদীর ধারে নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। যারা বারান্দায় বসে জঙ্গলের অনুভূতি পেতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত। রয়েছে NEST- এর accomodation.

Gorumara National Park:- সব থেকে জনপ্রিয় তাই এখানে তৈরি হয়েছে প্রচুর রিসোর্ট এবং হোটেল। হোমস্টে নাম হলেত হোটেলের মতই পরিষেবা। যদিও পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকটা অফ বিট প্লেসে নেস্ট ব্যবস্থা রেখেছে হোমস্টের, মূর্তি লাটাগুড়ি বাদদিয়ে।

 Chisang :-  চলসার খুনিয়া মোড় থেকে ৩৫ কিমি পাহাড়ের উপর বিন্দু বারেজ পার হয়ে ভুটান সীমান্তে ছোট্ট গ্রাম। ঘর থেকে দেখতে পাওয়া যায় বরফে ঢাকা ডোকালাম রেঞ্জ। ফ্যামিলি হোমস্টে NEST রয়েছে এখানে।

Suntalekhola :- নদী পাহাড় আর জঙ্গলের মধ্যে ছোট্ট গ্রাম। বেশ পরিচিত পর্যটকদের কাছে। নেস্ট এখানেও হোস্টেলের ব্যবস্থা রেখেছে। এখানে নেপালি রান্নার স্বাদ পরখ করা যাবে। 

Murti :- লাটাগুড়িতে অত্যধিক চাপের জন্য। অনেক বড়ো বাগান লন নিয়ে রয়েছে এখানের হোমস্টে।

তিনটে ন্যাশনাল পার্ক নিয়ে গঠিত একটি বৃহৎ জায়গার নাম Dooars। পূর্ব থেকে পশ্চিমে buxa tiger reserve, Jaldapara ও gorumara national park। এই তিনটে পার্কের মধ্যে গরুমারা রকি ল্যান্ড জঙ্গলের ঘনত্ব কম এবং এটি একটি সৃজিত বন। আর জলদাপাড়া রেঞ্জের মাদারিহাট রেঞ্জটা ওয়েট ল্যান্ড আর গ্রাসল্যান্ড, অন্যদিকে buxa - jayanti - chilapataটা অনেক গভীর এবং স্বাভাবিক জঙ্গল। বক্সার জঙ্গল এলাকা অনেক কম হলেও বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বেশি। তাই দেখতে পাওয়ার সুযোগও বেশি এবং বন্যপ্রাণীদের অসুবিধা না করার জন্য  সাফারি গাড়ির সংখ্যা কম, মাত্র দুটি। 

পর্যটকরা অনেকেই মনে করেন Dooars মানে Gorumara। এর কারণ হলো NJP-র কাছাকাছি অনেক থাকার ব্যাবস্থা আছে কিন্তু সুন্দর আর রহস্যময় জঙ্গল বক্সা-জয়ন্তী-চিলাপাতা। 

তাই শুধু buxa tour Plan করলে buxa-jayanti-chilapata ঘুরে কমপ্লিট করে নেওয়াই ভালো। যে কোনো সময় দার্জিলিং বা সিকিম উঠলে নামার সময় একদিন লাটাগুড়িতে থেকে পরের দিন ৭ পয়েন্টস ঘুরলে কভার হয়ে যাবে গরুমারাটাও। এই দিকটা হলো পিছনের দিকে এবং একবারে আবার পুরোটা ঘোরা যাবে না। তাই আগে পিছনটা ঘুরে নিলে সামনেরটা পরবর্তী সময়ে ঘোরা যাবে। 


Trip plan for Dooars :- 

৫ রাত্রি ৬ দিন 

প্রথম দিন:- ভোরের ট্রেনে নিউ আলিপুরদুয়ার পৌঁছে আগে থেকে বুক করা গাড়িতে স্টেশন থেকে ফ্রেশ হয়ে সোজা রওনা বক্সা টাইগার রিজার্ভের দিকে। পথে পড়বে দমণপুর। এখানে ধাবার ধোঁয়া ওঠা চা হাতে নিয়ে, মাঝেরদাবি চা বাগান, পাশে বয়ে চলা নোনাই নদীটা ভোরের নরম আলোয় দেখে নেওয়া যেতে পারে। তারপর সোজা কোর এলাকায় ঢোকার আগের গ্রাম রাজাভাতখাওয়া। যখন কুচবিহারের রাজার সাথে ভুটানের রাজার যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধের শেষে এই নদীর পাশে বনভোজন করে মৌ স্বাক্ষর করেন তারা। সেই কারণে জায়গাটার নাম রাজাভাতখাওয়া। এই নদীর পাশাপাশি একটা জঙ্গল ঘেরা কাঠের হোমস্টেতে চেক ইন করে সকালের খাবার। এবং ঘরটা একটু গুছিয়ে জায়গাটাকে এক্সপ্লোর করতে বেরিয়ে পড়া। ভাতখাওয়া নদীর পাড় ধরে হাঁটতে থাকলে একটা জঙ্গল ট্রেল পাবেন। ব্রিজ পার হয়ে সোজা ওটা দিয়ে এগিয়ে গেলেই ঘন জঙ্গলের ভিতর রাজাভাতখাওয়া মিউজিয়াম। এক্সটিনক্ট বন্যপ্রাণীর তথ্যের সাথে স্টাফড স্যাম্পল দেখতে পাবেন। পাশেই রয়েছে শকুন উদ্ধার কেন্দ্র। সব শেষে জঙ্গল ট্রেল। মিউজিয়ামের উল্টো দিকেই আছে তিনটে গভীর জঙ্গল ট্রেল বার্ড ট্রেল, বাটারফ্লাই ট্রেল এবং ফিসফিসানি। দেখা শেষ করে হোম স্টেতে ফেরা। এগুলো পেইন্ট না, ন্যাচারাল তাই সময় দিন ভালো লাগবে। অপেক্ষা করলে রং বেরঙের পাখি আর প্রজাপতির রঙিন পাখায় নিশ্চিত ভেসে যাবেন।
হোমস্টেতে ফিরে এসে লাঞ্চ করে কিছুটা রেস্ট নিয়ে বিকেল তিনটেতে সাফারি জিপে করে (৬ জন একটি জিপ) buxa tiger reserve এর কোর সাফারি। ঘণ্টা ২-এর এই সাফারি ভীষণ রোমাঞ্চকর। সব থেকে ঘন আর ছোটো জঙ্গল হওয়ার কারণে বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়ার সুযোগ বেশি। সাফারি শেষ করে সন্ধ্যা ৭টায় হোমস্টেতে ফিরে দোতলার বারান্দায় বসে আড্ডা সাথে স্ন্যাকস, রাতে খাবার সেরে লম্বা ঘুম । 

দ্বিতীয় দিন:-  
সকালের বক্সার পরিবেশটা খুব সুন্দর হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গল ট্রেলে ময়ূর হরিণ দেখা পেতে পারেন বক্সা ঝোরার টিকটায় একটু সকাল সকাল উঠে। ফিরে এসে সকালের টিফিন করে বেরিয়ে পড়ুন  buxa fort/lepchakha treak। মেঘ পিওনের গ্রাম, বেড়িয়ে আশে পাশে দেখতে দেখতে সোজা সাঁওতালবাড়ি। সেখান থেকে zero point এ গাড়ির গন্তব্য শেষ। এবার ট্রেক রুট প্রায় ৩ কিমি। খুব কষ্টকর না হলেও পরিশ্রম আছে। হেঁটে হেঁটে একের পর এক, ঝর্না, কাঠের ক্যানোপি পার হয়ে সদরবাজার। তারপর বক্সা দুয়ার গ্রাম। এখানে হল্টে লাঞ্চ করার পর কোনো একটা হোম স্টেতে বক্সা ফোর্ট, মিউজিয়াম, ভিউ, আর বো বারাক দেখে সোজা lepchakha trek। লেপচা সম্প্রদায়ের ছোট্ট গ্রাম, একটা মনাস্ট্রী আছে পাশে বাগিচার মত লম্বা বাগান। শেষ পয়েন্টে দাড়ালে একদিকে গোটা buxa-Jayanti উল্টো দিকে ভুটান পাহাড় দেখতে পাওয়া যায়। সবুজ মাঠে বসে আড্ডা এবং মোমো কফি খেতে ভালোই লাগবে। বিকেলে নামা শুরু করুণ ব্যাক টু হোমস্টে। ফিরে স্ন্যাকস নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে রাত্রিযাপন। যারা ট্রেক করতে পারবেন না তারা এই দিন কুচবিহার, ভুটান - ফুন্টসেলিংটা ঘুরে নিন। 

তৃতীয় দিন:-  
সকালে চা খেয়ে জিনিসপত্র গুছিয়ে রাজাভাতখাওয়াকে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে পড়ুন জয়ন্তীর উদ্দ্যেশে। রাস্তায় বালানদীর চরে খানিকটা সময় কাটিয়ে jayanti river bed। রিভার বেডে বেশ কয়েকটা হোটেল, সরকারি বাংলো আর হোমস্টে আছে। কোনো একটা ভালো হোমস্টেতে চেক ইন করে সকালের খাবার খেয়ে বিশ্রাম।
দুপুরে স্নানটা জয়ন্তী নদীতে করতে পারেন। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে গাড়ি নিয়ে নদী পার হয়ে চলে যান jayanti Safariতে। চুনিয়া ঝরা ওয়াচ টাওয়ার এবং  ভুটিয়া বস্তিতে লেকের পাশে ওয়াচ টাওয়ার। সন্ধ্যেবেলা জলপান করতে আসা বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়ার সুযোগ প্রবল। এই দুটো ওয়াচ টাওয়ার থেকে ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে।
ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে রিভার বেডের উপরে পড়ে থাকা শুকনো কাঠের গুঁড়িতে বসে  আড্ডার সাথে স্ন্যাকস। পাশ দিয়ে খরস্রোতা jayanti বয়ে চলেছে। পরিষ্কার আকাশের প্রত্যেকটা তারা গোনা যাবে এবং নদীর ওপারে গভীর জঙ্গল। সব মিলিয়ে একটা অদ্ভুত অনুভূতি। রাতে হোমস্টেতে খাবার সেরে ঘুম । 

চতুর্থ দিন:- ভোর বেলা Jayanti বরাবর হাঁটা মুক্তির স্বাদ আনে। হাজার রকমের পাখির আনাগোনা অনন্য অনুভূতি এনে দেয়। ফিরে এসে সকালের খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়ুন। মহাকাল নদীর উপরে বেশ কয়েকবার কাঠের বাঁশের ব্রিজ পার হয়ে সুন্দর স্বর্গীয় রাস্তা ধোরে পৌঁছে যান Mohakal Temple। ছোটো মহাকাল পার হয়ে বড়ো মহাকালে যেতে হয় সেটা ভূটানের সীমান্তে পড়ে। যারা পারবেন ২ ঘন্টা ট্রেক করে বড়ো মহাকাল যাবেন। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মনে থাকবে এই রুদ্ধশ্বাস ট্রেক। মহাকাল থেকে ফিরে লাঞ্চ করে বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে যান পূখরি লেকের দিকে। নদী থেকে বেশ খানিকটা উপরে ঘন জঙ্গলে ঘেরা স্যাক্রেড লেক। কিছুটা হাঁটা পথ কিন্তু পথটা ভীষণ সুন্দর। বিরাট এই লেকটি কচ্ছপ আর ক্যাট ফিশে ভর্তি। এটা দেখার পর সোজা টাশি গাঁও ওয়াচ টাওয়ার ঘুরে ব্যাক টু হোম স্টে। জয়ন্তীর শেষ রাত্রির সেলিব্রেশন টা আজকেই ক্যাম্প ফায়ারে নিন সেরে।  

পঞ্চম দিন:-  
ভোরবেলা জয়ন্তী থেকে চেক আউট করে সোজা Chilapata অথবা মেন্দাবাড়ী। যাকে বলে আনএক্সপ্লোরেড ভার্জিন জঙ্গল। রাস্তায় বেশ কয়েকটা নদী পড়বে দেখতে দেখতে আসা উচিত। এখানের বেশিরভাগ হোমস্টে গুলো এই জঙ্গলের ভিতরে ক্যাম্পের মত। একটা ভালো জঙ্গল ক্যাম্পে চেক ইন করে সকালের টিফিন সেরে নিন। তারপর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন খয়েরবাড়ি রেসকিউ ক্যাম্প। এই পথ চলটা ভীষণ সুন্দর। চা বাগান এবং জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। সৌন্দর্য পান করতে করতে পৌঁছে যাবেন নামে টাইগার রিজার্ভ হলেও বাঘ একটিও নেই। তাই দুধের স্বাদটা এখানে ঘোলে মিটাতে পাশের জঙ্গল ট্রেল গুলো দেখা যেতে পারে। সব দেখার পর দুপুরে ফিরে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে জিপ সাফারি। এখানে চিলা পাতা থেকে চিলা পাতা সাফারি হয় জিপে। আর মেন্ডাবাড়ি থেকে জিপ আর হাতি দুটো সাফারিই হয়। ফিরে রাতের জঙ্গল অনুভব করতে করতে ব্যাগ প্যাক করে নেবার পালা কাল বেরোতে হবে। 
 
ষষ্ঠ দিন:-
ভোরেই চা খেয়ে চেক আউট করে বেরিয়ে পড়ুন। যাবার আগে আজ ঘুরে আসা Amazon of Dooars শিকিয়া ঝোরা, কুচবিহার যাবার রাস্তায় পড়বে। ঘন জঙ্গলের বুক চিরে একটা ছোটো নদী চলে গেছে বোট সাফারি হয় এখানে। সাফারি শেষ করে সময় থাকলে কুচবিহার রাজ বাড়ি দেখে ট্রেন। না হলে সাফারি করার পর নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে ট্রেন ধরে কংক্রিটের শহরে ফেরা।
যারা পাহাড় এ যেতে চান শেষ দিন তারা লাভা- রিষপের দিকে যেতে পারেন অথবা চিসং বলে একটা হ্যামলেট আছে ওখানেও যেতে পারেন। 
যারা এর সাথে গরুমারা ঘুরতে চান। তারা শেষ দিনের পর ওখান থেকে বেরিয়ে সোজা চালসা, সিসামারা, ঝালঙ্, মূর্তি, লাটাগুড়ির মধ্যে কোনো একটায় গিয়ে হোমস্টে / রিসোর্টে উঠে ৭ পইন্টস দেখে পরের দিন নিউ মাল জংশন থেকে ট্রেন ধরে ফিরতে পারেন ।


Resort in Dooars :- 
জঙ্গল সংলগ্ন থাকতে হলে আপনাকে হোমস্টে বেছে নিতে হবে। হোটেল সেরকম নেই। dooars এর সব জায়গাতেই ' NEST ' এর হোমস্টে আছে। NEST সরকারের ' ব্লু হোম স্টে ' প্রকল্পের হোমস্টে গুলো নিয়ে তৈরি একটা প্রজেক্ট। কম খরচে থাকা খাওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়। এদেরকে বলে সাফারি স্লট বুক করার সুবিধা রয়েছে। সবকটা হোমস্টে এবং গাড়ি একটা নম্বর থেকেই বুক করা যায়। নম্বর :- +91 6294924252
নেচার রিসর্ট, ফোন- 22370060/22258549.
মালবাজার ট্যুরিস্ট লজ, ফোন- 03562-255183/9733008793. উদীচী, ফোন-03562-257452. সাবিত্রী, ফোন:- 9733239977. নিউ শান্তি লজ, ফোন- 9932982062. সবুজের কোলে, ফোন- 9434600515. উত্তরা লজ, ফোন- 23541436. কস্তুরী হোটেল, ফোন:- 9830270097.
জঙ্গল নীড়, ফোন- 9433395517. অরণ্য গরুমারা জঙ্গল রিসর্ট, ফোন- 03561-266346/9733005454. লেক ভিউ রিসর্ট, ফোন-9434118043. সিলভার রিজ রিসর্ট, ফোন-9932904028. তপোবন ফরেস্ট রিসর্ট, ফোন-9932897205. রিসর্ট ফ্লোরেট, ফোন- 9641113088. মধুবন রিসর্ট, ফোন- 9831790080. রিসর্ট ময়ূর, ফোন- 9434808436. রাইনো জঙ্গল রিসর্ট, ফোন- 9830456112. গরুমারা ইকো রিসর্ট, ফোন- 9434319829. হাতিহানা দ্যা গ্রেট ক্যাসেল, ফোন- 8670553278.
These all are Cheapest hotels and resorts in Dooars. Contact them by Phone numbers and get further Information about Dooars Hotel and resorts.

শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২১

Bishnupur tour / Bishnupur tourist spots :- বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া ভ্রমণ

Bisnupur:-
চোখ জুড়ানো টেরাকোটার মন্দিরের শহর বাঁকুড়া জেলার Bisnupur। মল্লভুম মানে বাঁকুড়া বর্ধমান, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদের কিছু অংশ আর বিহারের ছোটো নাগপুরের কিছু অংশ নিয়ে অতীতে মল্ল রাজাদের রাজধানী ছিল Bisnupur। ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতকে মল্লরাজাদের সময়েই তৈরি হয় বিষ্ণুপুরের এই বিখ্যাত মন্দির গুলি। বিষ্ণুর উপাসক মল্লরাজাদের পৃষ্ঠ পোষকতায় স্থাপত্যের উন্নতির সাথে সাথে সঙ্গীত চর্চা ( বিষ্ণুপুর ঘরানা), বয়ন শিল্প ( যার পরবর্তী ফলস্বরূপ বাংলার বিখ্যাত বালুচরী শাড়ি, স্বর্ণচরী শাড়ি ) মৃৎশিল্প ইত্যাদির উন্নতি ঘটেছিল। অসাধারণ নক্সা ও কারুকার্য করা দশ অবতার তাস আর পোড়ামাটির ঘোড়া, পোড়ামাটির বিভিন্ন সামগ্রী আর শাঁখাও বিখ্যাত Bisnupur-এর। ১৯৯৮ সালে বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দিরগুলি ইউনেস্কো ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কোরেছে Bisnupur কে।

বিষ্ণুপুরের মন্দিরগুলি দুটি ঘরানায় তৈরি। 
এর মধ্যে মদনগোপাল, নন্দলাল, রাধা গোবিন্দ, রাধা মাধব, লালজী মন্দিরগুলি ল্যাটেরাইট পাথরে তৈরি আর মদনমোহন, মুরলী মোহন, জোড় বাংলা, শ্যামরাই ইটের তৈরি। 

বিষ্ণুপুরের প্রথম দর্শনীয় স্থান Rasmancha, যা ঝামা পাথরের তৈরি, উচ্চতা ৩৫ ফুট, চওড়ায় ৮০ ফুট, দেখতে পিরামিডাকৃতি। অনেক গুলো চওড়া খিলান যুক্ত বারান্দা সৌন্দর্য বাড়িয়েছে রাসমঞ্চের। একটি বড়ো বেদীর উপর Rasmancha টি রয়েছে। বাসস্ট্যান্ডের কাছে Bisnupur College এ যাওয়ার পথে পড়বে। কোনো মন্দির নয়, এতে কোনো মূর্তি নেই, সে সময়ে এখানে মহাসমারোহে রাস হতো। রাস উৎসবের সময় Bisnupur Town এর সমস্ত রাধাকৃষ্ণের মুর্তি এখানে নিয়ে আসা হতো। ১৬০০ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত এখানে রাস উৎসব হতো। এখান থেকেই ক্রমে রাসযাত্রা বাঁকুড়া, মেদিনীপুরে ছড়িয়ে পড়ে। মল্লরাজা বীর হাম্বীর আনুমানিক ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে এই মঞ্চটি তৈরি করেন।
রাস মঞ্চের কাছেই দলমাদল কামান। ২৯৬×৪০ কেজি ওজনের ১২ ফুট লম্বা এই মাকড়া পাথর গলানো লোহার তৈরি কামানটিতে এত বছরেও রোদ, জল বৃষ্টিতেও মরচে পড়েনি। শোনা যায় যে, শত্রুদের হাত থেকে Bisnupur কে রক্ষা করার জন্য মল্ল রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন নিজেই শত্রুদের উপর কামান দেগেছিলেন। এর পাশেই রয়েছে ছিন্নমস্তার মন্দির।
আর তারপরই আছে যোগেশচন্দ্র পুরাকীর্তি ভবন। এই সংগ্রশালাটিও যথেষ্ঠ আকর্ষণীয়। পাল, সেন, মল্ল, মুঘল যুগের নানান পুরাকীর্তি, পুঁথি, নক্সা, মূর্তির নিদর্শন দেখতে পাবেন।
এরপর Bisnupur College ছাড়িয়ে চলে আসুন লাল ইটের স্তূপ, এক সময়ের গুম ঘরে। যার বেশির ভাগ অংশ এখন জঙ্গলে ভরে উঠেছে। একটু এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন পাঁচ চূড়া বিশিষ্ঠ শ্যামরাই মন্দির। সমস্ত মন্দির জুড়ে রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত আর তৎকালীন সমাজ জীবনের পোড়ামাটির অপরূপ কারুকার্যমণ্ডিত কাহিনী। ১৬৮৩ সালে মল্লরাজ রঘুনাথ সিংহ এই মন্দিরটি তৈরি করেন।
শ্যাম রাইয়ের কাছেই রয়েছে রাধা শ্যাম মন্দির। এই মন্দিরে আজও পুজো হয়। মন্দিরে রয়েছে রাধে শ্যাম, গৌর নিতাই আর জগন্নাথের মূর্তি। মন্দিরের সামনে সুন্দর নহবৎখানা, এক সময় নিত্য নাচগানের আসর বসতো। মন্দিরের চতুষ্কোণ ছাদের চূড়া গম্বুজের মতো। মন্দিরের অন্দর মহলে রয়েছে তুলসিমঞ্চ, নাট মঞ্চ আর রান্নাঘর।
রাধা শ্যাম মন্দিরের পরেই রয়েছে মল্লরাজ দেব সিংহের জোড় বাংলা মন্দির। মন্দিরটি পরস্পর সংযুক্ত দুটি দোচালা কুটিরের সমন্বয়ে গঠিত। সংযুক্ত অংশের মধ্যস্থলে একটি চারচালা শিখর রয়েছে। তাই একে জোড় বাংলা বলা হয়। মন্দিরের দেওয়ালে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী, সামাজিক জীবনযাত্রা ও শিকারের দৃশ্য অপূর্ব টেরাকোটার কারুকার্যে চিত্রিত। এই মন্দির কৃষ্ণরায় মন্দির বলেও পরিচিত।
রাধা শ্যাম মন্দিরের বিপরীতে রয়েছে বিষ্ণুপুরের প্রাচীন মন্দির, ৯৯৭ সালে 
মল্লরাজা জগৎমল্লের তৈরী মন্দির, মৃন্ময়ী মায়ের  মন্দির। এই মন্দিরে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে প্রাচীন দুর্গাপূজাটি হয়।
এই মন্দিরের পিছনে মল্লরাজাদের রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ বর্তমান।
এই মন্দিরের উত্তর -পূর্ব কোণে রয়েছে লাল জিউর মন্দির। মন্দির ছাড়িয়ে একটু গেলে পড়বে দূর্গের তোরণ দ্বারের মতো মাকড়া পাথরের বড়ো পাথর দরজা আর ছোটো পাথর দরজা।
বড়ো দরজা ছাড়িয়ে কিছুটা দূরে পড়বে মদনমোহন মন্দির। ১৬৯৪ সালে, মল্লরাজা দুর্জন সিংহ এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরটির ছাদ চৌকো ও বাঁকানো, কিনারা বাঁকযুক্ত ও মধ্যে গম্বুজাকৃতি শীর্ষ বর্তমান। মন্দিরের দেওয়ালে পোড়ামাটির কৃষ্ণলীলা, দশাবতার ও অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনীর বিভিন্ন দৃশ্য ভাস্কর্যের মাধ্যমে রূপায়িত।এই মন্দিরেও পুজো হয় রাধা কৃষ্ণের।
এরপর দেখে নেবেন, বিষ্ণুপুরের একমাত্র শিব মন্দির মল্লেশ্বর। তারপর  কালাচাঁদ আর জোড় শ্রেণীর মন্দির। 
এই জোড় শ্রেণীর মন্দিরের প্রাঙ্গণে প্রতি শনিবার পোড়ামাটির হাট বসে। এলাকার শিল্পীরা পোড়ামাটির বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী, বিভিন্ন হস্ত শিল্প, বালুচরী শাড়ি ইত্যাদির পসরা নিয়ে বসেন। এছাড়াও এখানে বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীত, কীর্তন, নৃত্যেরও আসর বসে।
এছাড়াও মন্দিরের শহরে আরও অনেক প্রাচীন মন্দির দেখতে পাবেন। মন্দির ছাড়াও মল্ল রাজাদের মহান কীর্তি এখানকার বড়ো বড়ো দিঘি, লাল বাঁধ, কৃষ্ণ বাঁধ, যমুনা বাঁধ, কালিন্দী বাঁধ, পোকা বাঁধ, শ্যাম বাঁধ দেখে নিতে পারেন।

মন্দির দর্শন শেষ হলে, চলে আসুন বড়ো কালিতলায়, পাটরা পাড়ায়। এখানে তৈরী হয় বিখ্যাত বালুচরি শাড়ি। তবে, মল্লভূম সিল্ক সেন্টার থেকে শাড়ি কেনাই ভালো। 

Bisnupur গেলে অবশ্যই কিনতে ভুলবেন না এখানকার দশবতার তাস, এই তাসের খেলা মল্ল রাজারা খেলতেন এক সময়। কাপড় শুকিয়ে জোড়া দিয়ে গোলাকৃতি এই তাস গুলোয় আঁকা হয় বিষ্ণুর দশবতারের বর্ণময় অপরূপ চিত্র। ১২০ সেটের এই তাস সংঙ্গে করে আনতে পারেন স্মৃতি হিসেবে। বাঁকুড়ার পাঁচ মুড়ায় তৈরী বিষ্ণুপুরের অন্য আর এক স্মৃতি বিখ্যাত টেরাকোটার ঘোড়াও কিনবেন মনে করে। এছাড়া, পুরাণের কাহিনীর সূক্ষ্ম কারুকার্য করা শাঁখ আর শাঁখা কিনলে কিনতেও পারেন।

ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এখানে একটি মেলা হয়। শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মত এটিও খুব বিখ্যাত মেলা। তবে এই মেলা দেখতে হলে, আগে থেকে বিষ্ণুপুরের হোটেল বুকিং করে নেওয়া ভালো, না হলে থাকার জায়গা পেতে খুব মুশকিল হবে। ওই সময় হোটেল পাওয়া যায়না বললেই চলে। Bisnupur থেকে কাছাকাছি ঘুরে নেওয়া যায়  কংসাবতী নদীর উপর ড্যাম মুকুটমনিপুর, ঝিলিমিলি, মা সারদার জন্মস্থান জয়রামবাটি, শ্রী রামকৃষ্ণের জন্মস্থান কামারপুকুর।

Weather Bishnupur :- 
Temperature of Bisnupur 
গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত পরিলিক্ষত হয় এবং  শীতকালে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। মার্চ মাস থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে ও মে মাসে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ হয়। অপরদিকে শরৎকালে থেকে তাপমাত্রা কমতে কমতে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এই জেলা সর্বাধিক শীতল হয়। গ্রীষ্মে মাঝে মাঝে লু ও শীতে শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়। this is General weather of Bisnupur. 

Hotels in Bishnupur :- 

Annapurna, Phone:- 07407504000
Meghmallar Lodge, Phone:- 01246201616
Monalisha Lodge,  Phone:- 09434115177
Hotel Laxmi Park, Phone:- 03244256353
Udayan Lodge,  Phone:- 03244252243
OYO Holiday Resort, Phone:- 01246201327
Bisnupur Tourist Lodge, Phone:- 09732100950
Shin Kali Lodge, Phone:- 01246201616
Mallabhum Lodge, Phone:- 09434224896
Heritage Hotel, Phone:- 01246201182. These all are Cheapest hotels of Bisnupur, Bankur. If you plan Bisnupur tour and want to know about Bisnupur Hotels contact with them by Phone number. What are mentioned here by the title of Bisnupur Hotels.

How to go Bisnupur, Bankura:-

হাওড়া থেকে খড়গপুর হয়ে বাঁকুড়ার পথে বিষ্ণুপুর। দূরত্ব ২০০ কিমি, সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।  কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার ট্রেনগুলি যায় বিষ্ণুপুর। আরামবাগ স্টেশনে নেমে কামারপুকুর, জয়রাম বাটি দর্শন করেও বাসে বা ট্রেকারে যাওয়া যায় বিষ্ণুপুর। কলকাতা থেকে সড়কপথে ধর্মতলা থেকে সরকারি, বেসরকারি বাস যায় বিষ্ণুপুর, সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। বিষ্ণুপুর পৌঁছে রিক্সা/অটো/টোটো ভাড়া করে দেখে নেওয়া যায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায় বিষ্ণুপুরের দর্শনীয় স্থানগুলো। ট্রেন এ বিষ্ণুপুর / আরামবাগ পর্যন্ত আসা যায়। যারা নিজেদের গাড়ি নিয়ে আসবেন না তারা আসুন বাসে। ধর্মতলা / করুণাময়ী থেকে বাস এসি / নন এসি বাস ছাড়ে আরামবাগ/ বিষ্ণুপুর পর্যন্ত।

Route plan to Bisnupur, Bankur tour:-
১ রাত্রি ২ দিন:-
কলকাতা-আরামবাগ-জয়পুর (রাত্রি অবস্থান)-জয়পুর লোকাল-বিকেলে বিষ্ণুপুর-পরের দিন শহরে ফেরা। (রাস্তায় সময় পেলে জয়রামবাটি-কামারপুকুরটাও ঘুরে নেওয়া যেতে পারে) 

২ রাত্রি ৩ দিন:- 
কলকাতা-আরামবাগ-জয়পুর (রাত্রিবাস)-জয়পুর লোকাল-জয়রামবাটি-কামারপুকুর-জয়পুর।
বিষ্ণুপুর-টেরাকোটা ভিলেজ (পাঁচমুড়া)-শুশুনিয়া / গাংদুয়া ড্যাম-কোরো পাহাড়-জয়পুর ( রাত্রি বাস)
পরের দিন শহরে ফেরা।

Bisnupur car rental :- 
Cab Express, Phone:- 07947324289
Nag Enterprise, Phone:- 07947437450
Quick Drop, Phone:- 09474049796
Sadan Chand, Phone:- 07947126567
Papai Travels, Phone:- 07947127172
If you Plan a tour for Bisnupur and want to know about car rental of Bisnupur. You may contact these Car Rental of Bisnupur.

Shimla : Shimla tourist spots :- শিমলা ভ্রমণ

Shimla:-
সুন্দরী Shimla-র আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে অদ্বিতীয়। শান্ত-স্নিগ্ধ সুমধুর সমীরণে অভিভূত মায়াবী পরিবেশন হিমাচল প্রদেশের রাজধানী ২২১৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ভারতের সর্ববৃহত্ পাহাড়ি শহর Shimla-র। ধৌলাধার পর্বতমালার আধা চাঁদের আকৃতি বিশিষ্ট হিমাচলের উত্তর-পশ্চিমে ১২ কিমি বিস্তৃত শৈলশিরায় স্বর্গীয় প্রাকৃতিক পরিবেশের শিমলা ঊনবিংশ শতাব্দীতে নেপালের মহারাজার অধীনস্থ ছিল। ১৮২২ সালে Shimla -য় প্রথম বাড়িটি তৈরি করেন শিমলা পাহাড়ের মেজর কেনেডি। ১৮১৪ সালে ব্রিটিশদের কাছে নেপালের পরাজয়ে সহযোগিতার উপহার হিসেবে Shimla দখলে যায় পাতিয়ালার মহারাজার। ১৮২৮ সালে ব্রিটিশদের হাতে শহর তৈরি শুরু হয় শিমলায় এবং নিজ দেশের আবহাওয়া খুঁজে পেয়ে ইংল্যান্ডের অনুকরণে সাজিয়ে তোলেন Shimla Hill কে ব্রিটিশরা। ১৮৬৪ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ছিল ব্রিটিশদের তৈরি ৮০ টি হিল স্টেশনের মধ্যে অন্যতম Simla।

Weather in Shimla:-
Temperature of Shimala- 
গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ১১ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতে ০ ডিগ্রির নিচে নেমে যায় কখনো কখনো। শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পরিলিক্ষত হয় শিমলাতে।
It's General weather in Shimla.

Perfect time to visits Shimla:-
Here is a detailed of perfect time to visits Shimla.
জুলাই আগস্টের বর্ষার সময় বাদ দিয়ে এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস এবং নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। মূলত শিমলা ভ্রমণের সঠিক সময় এপ্রিল থেকে অক্টোবর হলেও পিক সিজন সিমলা পাহাড়ের মে থেকে জুলাই এবং পিক সিজনে ভ্রমণ খরচও বেড়ে যায়। This are the perfect time to visits Shimla.


Places to visit in simla:- 
Mall:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ভারতীয়দের প্রবেশাধিকার ছিল না ব্রিটিশদের তৈরি ম্যালে। গাড়ি চলাচল ছিলো না সেদিন, আজও নেই আপার শহরে বা Mall-এ। বাজারহাট, দোকানপাট, ট্যুরিস্ট অফিস, রেলের বুকিং, হোটেল-রেস্টুরেন্ট নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা জমজমাট, শৈলশহরের হৃদয় এই অভিজাত ব্রিটিশ Mall টি বর্তমান।

Crist Church:- উত্তর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই Crist Church টি নিও-গথিক শৈলীতে সুন্দর কারুকার্যমণ্ডিত ১৮৪৪ থেকে ৫৭র মধ্যে তৈরি হয়। প্রথমে এটিতে ঘন্টা এবং বারান্দা ছিল না। ঘন্টাটি তৈরি শিখদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ইংরেজদের দখলকৃত কামানের ব্রাসে ১৮৬০ সালে এবং ১৮৭৩ সালে বারান্দাটি সংযোগ করা হয় Crist Church এ। Crist Church-এর পাশেই রয়েছে State Library.

Gaiety Theatre:- টিউডরি শৈলীতে তৈরি gaiety theatreটি সংস্কার হয় ১৯১১ সালে। শব্দ বিজ্ঞানের নিপুণ ব্যবহারের কারণে লন্ডনের পুরস্কার পায় গেইটি থিয়েটার। আজও থিয়েটারের আসর বসে Gaity-তে।

Scandal Point:- শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই scandal Point-এর ঢালে স্কেটিং রিঙ্ক রয়েছে। লালা লাজপত রায়, ওয়াই এস পারমার, চিনার বৃক্ষ, জওহরলাল নেহেরুর মুর্তির উল্টো দিকে ইন্দ্রাগান্ধীর মূর্তি রেখে ম্যালের শেষ সীমা গান্ধী মুর্তির পাদদেশে। লালা লাজপত রায়ের মুর্তির দক্ষিণ দিকে HRTC ও HPTDC-র অফিস রয়েছে। বাম দিকের দোকানপাট ছেড়ে রাস্তা চলে গেছে বাস টার্মিনাল লক্করবাজারে। ডাইনে রোমান ক্যাথলিক চার্চ, GPO, টাউন হল মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং। কিছুটা দূরে সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চ। নিচে কিছুটা নামতে থাকলে গর্টন ক্যাসেল, সেন্ট মাইকেল ক্যাথেড্রাল। ক্যাসেলের বামে নামলে রেল স্টেশন এবং ডাইনে নামলে আনানদেল। কালীবাড়ি পার হলে হিমাচল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি।

State Museum:- ইনভেরাম পাহাড় চূড়ায় state museum ম্যাল ধরে হেটে চার্চ থেকে ঘন্টাখানেক দুরত্বে অবস্থিত। রয়েছে পাহাড়ি-বাসোলী-কাংড়ার মিনিয়েচার পেইন্টিং সহ হিমাচলের মন্দির গুলো থেকে সংগ্রহ করা কাঠ ও পাথরের ভাস্কর্য, মুর্তি পোশাক-আশাক State Museum-এ। শনিবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে Museumটি। 

Bazar:- ম্যাল থেকে গলিপথে কিছুটা নেমে এসে Bazar থেকে ওয়াকিং স্টিক, কুলু টোপি, শাল, কিন্নরী মাফলার ও পশমের তৈরি হিমাচলে তৈরি বিভিন্ন কিছু সংগ্রহ করা যেতে পারে।

Shimla Kalibari:- বাসস্ট্যান্ডে মাথায় ম্যাল সংলগ্ন Kalibariটি তৈরি করেন রামচরণ ব্রহ্মচারী ১৮৪৫ সালে। সিমলা গিয়ে কুলির দায়িত্বে ব্যাগপত্র দিয়ে বাঙালির পীঠস্থান বাপটনি পাহাড়ে চড়াই পথে Kalibari গিয়ে থাকতে পারেন। পর্যটন মরশুমে জায়গা পেতে অসুবিধা হবে তাই আগে থেকে অগ্রিম পাঠিয়ে যোগাযোগ করে নিন- দ্যা সেক্রেটারি,  ফোন:- ০১৭৭-২৬৫২৯৬৪. এই পাহাড়ের নাম হয়েছে এই মন্দিরের শ্যামলা দেবীর নাম থেকে। জয়পুর থেকে আনা দেবী কালীর ডাইনে মঙ্গলচণ্ডি এবং বামে শ্যামলা দেবী রেখে পুজা হয়।
                      শিমলা কালীবাড়ি 

Hanuman Temple:-  জাকু পাহাড়ের চূড়ায় Manuman Mandir টি অবস্থিত। রিজ থেকে দেড় কিমি চড়াই পথে ২৪৫৫ মিটার উচ্চতায় জাকু থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত মনোমুগ্ধকর এবং শিমলা শহরও সুন্দর দেখা যায় এখন থেকে। গন্ধমাদন তুলে নিয়ে ফেরার পথে ক্লান্ত হনুমান বিশ্রাম নিয়েছিলেন এখানে, রয়েছে তার পদচিহ্নও। Hanuman Mandir টিতে রয়েছে প্রচুর হনুমানের উপদ্রব তাই সাবধাানতা বাঞ্ছনীয়। ম্যাল থেকে হেঁটে গিয়ে অথবা ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে আসা যায় ঘন্টাখানেকে জাকু ও হনুমান মন্দির।

Summer Hill:- শিমলা-কালকা রেল লাইনের শিমলার আগের স্টেশন শিমলা থেকে ৫ কিমি দুরে অবস্থিত Summer Hill গান্ধীজী শিমলা এসে এখানে জর্জিয়ান শৈলীতে তৈরি Monorville ছিলেন এবং ১৯৪৫ সালে ভাইসরয়ের সাথে ভারতের স্বাধীনতা বিষয়ক আলোচনায় বসেন Summer  Hill-এ জুনে। এছাড়া হিমাচল বিশ্ববিদ্যালয় সহ এখান থেকে দুই কিমি দুরে চাদউইক ফলসটি দেখে নেওয়া যায় পাহাড়ি ট্রেনে বা পায়ে হেঁটে।

Prospect Hill:- বয়লৌগঞ্জ থেকে মিনিট কুড়ির পাহাড়ি পথে শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দুরে ২১৪৫ মিটার উচ্চতায় চড়ুইভাতির মনোরম পরিবেশে Proapect Hill অবস্থিত। পূর্ণিমার সন্ধ্যায় prospect hill থেকে একই সঙ্গে সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রোদয় উপভোগ্য। prospect hill থেকে কামনাদেবীর মন্দির, জুটৌগ, তারাদেবীর মন্দির, লোয়ার সহাসু, সামার হিল সিমলা পাহাড়ের সৌন্দর্য সুন্দর উপভোগের। 

দ্যা রিট্রিট:- মার্বেল পাথরের প্রাসাদটি এলিজাবেথীয় শৈলে তৈরি। সিলিং তৈরি বার্মা টিকে এবং কাঠ দিয়ে তৈরি সিঁড়ি, ইনডোরে টেনিস কোর্ট রয়েছে। এই প্রাসাদে বসে ভারত ভাঙার শিমলা চুক্তি বিষয়ে আলোচনা  অংশগ্রহণ করেন জওহরলাল নেহেরু। ভারত পাকিস্তান শান্তি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয় প্রাসাদের কনফারেন্স হলে। সমস্যা নিয়ে আলোচনায় ব্যাস্ত গান্ধী-নেহেরু-জিয়ার ছবি রয়েছে এখানে। স্বাধীনতার পরে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির গ্রীষ্ম নিবাস হয় দ্যা রিট্রিট। লাইব্রেরিতে রয়েছে ১ লক্ষ বইয়ের সম্ভার। পাশে বটানিক্যাল গার্ডেন এবং চিড়িয়াখানা। মিউজিয়াম থেকে ২০ মিনিট এবং শহর থেকে ১ কিমি দুরে  রিজ শেষ হতে অবজারভেটরি হিলের মাথায় ১৯৮৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত দ্যা রিট্রিট।

Wild Flower:- শীমলা শহর, বদরী গিরি, পীরপাঞ্জাল দেখা যায়  wild flower থেকে। বাম থেকে ডাইনে সারি দিয়ে দাড়িয়ে শ্রীখণ্ড পাহাড়। সিডারে ছাওয়া বরফে ঢাকা উপত্যকায় পাইনের অরণ্য পাখির কাকলিতে মোহময়ী হয়ে উঠে wild flower। বর্ষার পরে জানা-অজানা ফুলে ফুলে ভোরে ওঠে ২৫৯৩ মিটার উচু ২২ হেক্টর বিস্তৃত wild flower valley টি। কুফরীর রাস্তায় রূপসী তীর্থন এই উপত্যকা শহর থেকে ১৩ কিমি দুরে। নিচের বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে যাওয়া যায় এখানে।

Kufri:- ফেব্রুয়ারীর প্রথমে শীতকালীন ক্রীড়া উৎসব হয় Kufri তে। একসময় স্কি খেলার আসরও বসতো kufri তে। স্বর্গীয় প্রাকৃতিক পরিবেশে শহর থেকে ১৬ কিমি এবং ওয়াইল্ড ফ্লাওয়ার থেকে ৩ কিমি দুরে ২৬৩৩ মিটার উচ্চতায় দেওদারে ছাওয়া kufri অবস্থিত। মিনি জু, নেচার পার্কের উল্টো দিকে ইন্দিরা ট্যুরিস্ট পার্ক। kufri-র চিনি বাংলোতে ইন্দিরা এবং জুলফিকার আলি ভুট্টোর শিমলা চুক্তির বৈঠক হয়েছিল। গুপি গাইন বাঘা বাইনের বরফ দৃশ্য কুফরীর। যাত্রিবাসে করে ঘুরে আসা যায় কুফরী। ঘোড়া ও ইয়াকে চড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে কুুুফরীতে। ঘোড়া যাচ্ছে kufri থেকে গোল্লু হয়ে ফাগুতে। Mahash peak অভিযান করে নিতে পারেন, ট্রেক করে বা ঘোড়ায় কুফরী থেকে।  

Sightseeing at Shimla:-
ফাগু, তত্তপানি, নলদেরা, ক্রেগনানোর, মেন্ট পার্ক, তারাদেবীর মন্দির, সঙ্কটমোচন মন্দির, আনানদেল ও গ্লেন।

How to go Shimla:-
হাওড়া থেকে হিমগিরি সুপার এক্সপ্রেসে আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট পৌঁছে সেখান থেকে বাসী/কালকা হোয়ে বিভিন্ন বাসে যাওয়া যায় Shimla। কলকাতা-জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-অমৃতসর, হাওড়া-অমৃতসর মেল, হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস আম্বালা যাচ্ছে আবার অমৃতসর পৌঁছেও ট্রেনে বা বাসে শিমলা যাওয়া যায়। হাওড়া-কালকা মেল দিল্লি যাচ্ছে, দিল্লি জংশন থেকে পরদিন সকালে কালকা যাচ্ছে হাওড়া-দিল্লী-কালকা মেল। আর কালকা থেকে ন্যারোগেজের পাহাড়ি রেলে Shimla পৌঁছাতে পারেন।

Hotels of shimla:-
There are some Shimla hotels and contact number-
Hotel De park, Phone:- 2832872. Bright Land, Phone:- 2803659. Hotel Victory, Phone:- 2653200. Hotel Vikrant, Phone:- 2653602 কার্ট রোড।
Himanis Premium, Phone:- 2652268. Hotel Puneview, Phone:- 2658604. Doegar, Phone:- 22131247. Hotel Varuna, Phone:- 2655814. Shiwalik, Phone:- 2811122. Honey Moon Inn, Phone:- 2624868. Hotel Dream Land, Phone:- 2653005. (রিজরোড)
Hotel Diplomat, Phone:- 2652001. Hotel Arithi, Phone:- 2802676. Bridge View, Phone:- 2658537. Hotel Gulmarg, Phone:- 2653168. (ম্যাল সংলগ্ন)
Hotel Kapil, Phone:- 40070974. Hotel Flora, Phone:- 26580227. Hotel Chanakya, Phone:- 2654465. Hotel White, Phone:- 2656136 (লাক্কের বাজার)
Hotel Sun-N-Snow, Phone:- 2656364. Ramkrisna, phone:- 23509199. Hindusthan, Phone:- 22374893. Hotel Bright Land,  Phone:- 2803659. (বাস স্ট্যান্ড)
If you need further Information about Shimla hotels contact with them.




Rameswaram tour guide : রামেশ্বরম ভ্রমণ / Rameswaram, Tamilnadu

Rameshwaram temple :- রাম, রাবণকে নিধন করার পর ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেতে লঙ্কা থেকে ফেরার পথে শিবের পুজা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। শি...